তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা সংবাদকর্মী: মৌলভীবাজারের আলোচিত জোড়া খুন শাবাব-মাহি হত্যাকাণ্ডের আসামি ফাহিম মুনতাসির (২১) কে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত শনিবার (২২ মে) দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ থেকে তাকে আটক করে পিবিআই।
এ তথ্য দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মো.আবু ইউসুফ।
তিনি বলেন, চার্জশিট থেকে আসামিকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদিনী আদালতে নারাজি জানিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আটক করেছি। মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ আদালতে তার রিমান্ড চাইবে। অচিরেই মামলাটির পুলিশি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত শাবাবের সাথে তুষার গ্রুপের বিরোধের কারণেই তুষার শাবাবকে হত্যার চেষ্টা চালায়। ১০/১২ দিন পূর্বে নিহত মাহির সাথে তুষার গ্রুপের ফাহিমের ঝগড়া হয়। এই বিষয়টি মীমাংসা করার জন্যই ঘটনার দিন ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শাবাব ও মাহিকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাস এলাকায় ডাকা হয়। সেখানে তুষার গ্রুপ শাবাব ও মাহিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা শাবাব ও মাহির বন্ধুরা ও পথচারীরা গুরুতর আহত শাবাব ও মাহিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় নিহত শাবাবের মা সেলিনা রহমান চৌধুরী মৌলভীবাজার মডেল থানায় ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১ বছর পর আদালতে চার্জশিট দায়ের করেন মডেল থানার তৎকালীন ওসি সোহেল আহম্মেদ। তিনি তুষারসহ ১০ জনকে আসামি করে চার্জশিট জমা দেন। কিন্তু বাকী আসামিকে চার্জশিটের অন্তর্ভুক্ত না করায় বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে মামলা পিবিআইতে প্রেরণ করেন আদালত।