মৌলভীবাজার শহরতলীর শ্যামলী এলাকা নামক স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পাঁচটি ঘর পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারগুলো। গত রোববার (২৩ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দল সহ এলাকাবাসী।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট পার্থ সারথি পাল এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় এলাকাবাসী বালি, বস্তা, পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সাথে সাথে পৌর মেয়র ফজলুর রহমান এবং ফায়ার সার্ভিসের ফাইটাররাও চলে আসেন। রাত ৯টার দিকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পাশে জলাধার থাকায় সহজে পানি পাওয়া গেছে। পানি সঙ্কটে পড়তে হয়নি, না হলে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাড়তে পারতো।
ফায়ার সার্ভিস মৌলভীবাজারের স্টেশন কর্মকর্তা জিতু তালুকদার এর আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে খবর পাই। সাথে সাথে ফায়ার ফাইটাররা চলে যায়। বিশ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০ মিনিট সময় লাগে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনো মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘরগুলো তালাবদ্ধ ছিলো। যেকারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
জিতু তালুকদার আরও বলেন, তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারায় আশেপাশের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল ও বাসাবাড়ি রক্ষা হয়েছে। পৌর কাউন্সিলর পার্থ সারথি পাল বলেন, ঘরগুলো টিনশেডের ছিলো। একসাথে ৮টি ঘর ছিলো। পাঁচটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে গেছে। ফয়ছল নামে পুড়ে যাওয়া ঘরের বাসিন্দা ও এক সিএনজি চালক বলেছে তার ৩ লাখ টাকা পুড়ে গেছে, ৫ ভরি স্বর্ণ পাচ্ছে না। এই ঘরের মালিক লন্ডন প্রবাসী সিরাজ উদ্দিন।
পৌর কাউন্সিল বলেন, তাৎক্ষণিক আমার পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে শাড়ি-লুঙ্গি ও খাবার দিয়েছি। মেয়র বলেছেন পৌরসভার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। যতদিন পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক অবস্থায় না ফিরছে ততোদিন খাবার দেওয়া হবে। ঘরগুলো পরিস্কার করে দেওয়া হবে।
এদিকে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম রোববার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি