তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-রবিরবাজার-টিলাগাঁও সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌলভীবাজার জেলার আওতাধীন নবনির্মিত রাস্তায় বিভিন্ন এলাকার নাম ভুল করে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয়দের। তারা ভুল সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন।
সওজের দেওয়া অধিকাংশ সাইনবোর্ডে কুলাউড়া উপজেলা নামের স্থলে লেখা হয়েছে কুলাউরা। এ ছাড়া কুলাউড়া-রবিরবাজার-রাজাপুর সড়কের পাশে রাউৎগাঁও এর স্থলে রাইতগাঁও, পুরশাই এর স্থলে কুসাই, মুদিপুর এর স্থলে মদিপুর ও মুড়ইছড়া নাম সংবলিত সাইনবোর্ড দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভুলের কারণে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে কাঁদা মাটি দিয়ে সেগুলো ঢেকে দিয়েছেন। এলাকার বাহির থেকে আসা মানুষজন নামের সাথে ঠিকানার মিল না পেয়ে ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, এ সড়কে বিভিন্ন মোড়ে এলাকার দূরত্ব ও পরিচয় সংবলিত ২৫০টি সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের অধীনে শামীম এন্টারপ্রাইজ। কাজ শেষে বিভিন্ন মোড়ে এলাকার নাম সঠিক নাম কিনা সেটা যাচাই করেন সওজ মৌলভীবাজার এর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞ। বিষয়টি স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে সমন্বয় করে এলাকার সঠিক নাম যাচাই করা উচিত ছিল কর্তৃপক্ষের। এলাকার নাম ভুল করে সাইনবোর্ড টানানোর কারনে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এটি দ্রুত সমাধান করার দাবি জানান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাষাগত ও প্রিন্টিং সমস্যার কারণে এই ভুল হয়েছে। আমরা দ্রুত সেটা সংশোধন করে দিব।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (কুলাউড়া) কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুলাউড়া সড়ক বিভাগে মোট ২৫০টি সাইনবোর্ড তৈরি করেছে। এরমধ্যে কয়েকটি এলাকার নাম ভুল হয়েছে। সংশোধনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কয়েকদিনের সময় নিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন করেছে। আমরা স্থানীয় এলাকার নামের বানান বিষয়ে তেমনটি পরিচিত নই। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। দ্রুত সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। ভুল নামের বানানগুলো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।