পরশু সেল্টার বিপক্ষে গোল নিয়ে লিগে মেসির গোল ১৫টি। এ নিয়ে টানা ১১ মৌসুমে কম করেও ১৫ গোল হলো তাঁর। শীর্ষ ৫ লিগের এ মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছরের শেষ টানলেন মেসি। মোটেই মন ভরানো খেলা নয়। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে পরশু ২-০ গোলের তিনটি পয়েন্ট পাওয়াই তৃপ্তি হতে পারে বার্সেলোনার। এবারের স্প্যানিশ লিগ যেমন উত্থান-পতন দেখছে, তাতে এই জয়ে দুইয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের (১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট, কাল লেগানেসের বিপক্ষে জিতে থাকলে সেভিয়ারও পয়েন্ট তা-ই) চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে বছর শেষ করতে পারার তৃপ্তি তো বার্সার হবেই। তাদের আরেক প্রাপ্তি, লিওনেল মেসি গোল পেয়েছেন। কদিন আগেই রেকর্ড পঞ্চম ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু হাতে পাওয়া বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এই বছরটাও শেষ করেছেন ইউরোপের মৌসুম–সেরা গোলদাতার দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে থেকে। লিগে ১৫তম গোলটি নিয়ে একটা রেকর্ডও হয়েছে মেসির। এ নিয়ে টানা ১১ মৌসুমে লিগে অন্তত ১৫ গোল হলো তাঁর, ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগে যে রেকর্ড আর কারও নেই! মেসির গোলটা পরশু এসেছে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে লেফটব্যাক জর্ডি আলবার থ্রু ধরে বক্সের বাইরে থেকে শটে গোল। গত মৌসুম থেকেই বার্সার অনেক গোলের উৎস হয়ে যাওয়া এই আলবা-মেসি সমন্বয় নিয়েও তাই কথা বলেছেন বার্সা কোচ ভালভার্দে, ‘ওরা দুজন অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে, দুজন পরস্পরকে ভালো বোঝেও। আশা করি, এটা চলতে থাকবে।’ মেসির গোলের আগেই ১০ মিনিটে বার্সাকে প্রথমে এগিয়ে দেন উসমান ডেম্বেলে, মেসিরই শট সেল্টা গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে সেটি আবার জালে জড়িয়ে। তবে ম্যাচ শেষে আলোচনায় এসেছে মেসির আরেকটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুর সম্ভাবনার প্রসঙ্গ। তালিকায় এ মুহূর্তে তিনি তিনে। তবে শীর্ষে যে দুজন আছেন, তাঁদের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মেসির চেয়ে ১ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে এস্তোনিয়ান ক্লাব নোম কালিয়ুর স্ট্রাইকার লিলিউ, এস্তোনিয়ার লিগই শেষ হয়ে গেছে। আর দুইয়ে তুরস্কের ক্লাব কাসিমপাসার এমবায়ে দিয়ানিয়ে। তাঁর পয়েন্ট মেসির সমান ৩০, কিন্তু গোল বেশি করায় দ্বিতীয়। গোল বেশি করেও পয়েন্ট সমান কেন? ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুর দৌড়ে ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগ, অর্থাৎ ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের প্রতি গোলের জন্য ২ পয়েন্ট, অন্যদের ক্ষেত্রে যেটি লিগের মান অনুযায়ী কমতে থাকে। তুরস্কের লিগে গোলপ্রতি ১.৫ পয়েন্ট, এস্তোনিয়ায় ১ পয়েন্ট। দৌড়টা তাই মেসির সঙ্গে ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের খেলোয়াড়দেরই। তালিকার চার থেকে ছয়ে থাকা খেলোয়াড়দের লিগ শেষ, সাতে থাকা ক্রিস্তোফ পিয়নতেকই বছর শেষ করেছেন মেসির সবচেয়ে কাছে থেকে। ইতালির ক্লাব জেনোয়ার পোলিশ স্ট্রাইকারের ১৪ গোলই বলে, তাঁকে নিয়ে কেন এত মাতামাতি ইউরোপে। এরপর পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে (১৩ গোল)। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পাকো আলকাসার, নঁতের এমিলিয়ানো সালা, আর্সেনালের পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং, এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের লুকা ইয়োভিচ, লিলের নিকোলাস পেপেরাও পিছিয়ে নেই। সবারই ১২টি করে গোল। ১১ গোল নিয়ে দৌড়ে আছেন নেইমার, সুয়ারেজ, সালাহর মতো খেলোয়াড়েরাও