অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর মেলবোর্ন। এখানে কাজের সূত্রে সারা পৃথিবী থেকেই মানুষ আসেন। কিন্তু বর্তমান করোনা আতঙ্কের জেরে শহরে ঢোকার পর থাকতে হচ্ছে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। মেলবোর্নের বিভিন্ন হোটেলেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করেছে শহরের প্রশাসন। কিন্তু আচমকাই মেলবোর্নের কয়েকটি কোয়ারেন্টাইন হোটেলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। শহরের এক নামি হোটেলেই একদিনে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
পাশাপাশি অন্যান্য কোয়ারেন্টাইন হোটেলেও বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। এরই কারণ খুঁজতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে মেলবোর্ন প্রশাসনের কর্তাদের। অবাধ যৌনতার জেরেই আচমকা করোনা ছড়িয়ে পড়ে ওই হোটেলগুলিতে।
মেলবোর্নের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ওই সমস্ত হোটেলগুলিতে কোয়ারেন্টাইনের কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না। সেখানে চলছে যথেষ্ঠ যৌনসংসর্গ।
সেখানে করোনা আক্রান্ত প্রায় প্রত্যেকেই স্বীকার করেছেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের অবসাদ কাটাতেই হোটেলে যৌনসংসর্গ করেছিলেন। স্
থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই হোটেলগুলি কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ও গাইডলাইন মানেনি। ফলে হোটেলে চলেছে অবাধ যৌনতা। পাশাপাশি সমীক্ষায় উঠে এসেছে লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। ফলে অতিথিদের যৌন খিদে মেটানোর জন্য অনেকেই সেখানে গিয়েছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষও সে ব্যাপারে যাহায্য করেছে মহিলাদের।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। কোনও হোটেল যোষী প্রমানিত হলেই নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। এখনও পর্যন্ত এই শহরে ৭৩০ জন করোনা আক্রান্ত। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পরই মেলবোর্নে নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। ফলে আগামী দুসপ্তাহের জন্য অন্য দেশ থেকে কেউ মেলবোর্নে ঢুকতে পারবেন না বলেই জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে যৌন মিলন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে অচেনা কারোর সঙ্গে যৌনসংসর্গ করলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। মেলবোর্নে এটাই হয়েছে। সুত্রঃ ক্যলকাটা নিউজ।