মোঃ খোরশেদ আলম,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ১৩ নং মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ধনিরামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার সরকারি হালট ও ডোবাটি পানি নিষ্কাশনের লালা এবং রাস্তা হিসাবে বহুদিন যাবত এই গ্রামের পূর্বপুরুষরা ব্যবহার করে আসছে কিন্তু পানি নিষ্কাশনের এই ডোবাটি মৃত অনাথ সূত্রধর এর ছেলে সুনীল সূত্রধর গ্রামবাসীকে না জানিয়ে ১৬/৮১-৮২ নং ভিপি লিজ এনে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী সকলে মিলে বাধা প্রদান করে যার কারণে সে আর দখলে যাইতে পারে নাই।
পরে উক্ত গ্রামের লোকজন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগন কে নিয়ে এক বৈঠকে বসে এবং সুনীল চন্দ্র সূত্রধরকে উক্ত সম্পত্তির লীজ জনস্বার্থে ১৫০ টি মুসলিম পরিবার ও ৫০ টি হিন্দু সম্প্রদায় পরিবারের জনস্বার্থে পানি নিষ্কাশনের এবং চলাচলের সুবিধার্থে নবায়ন না করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন সে উক্ত সভায় গ্রামবাসীর সম্মুখে এই জায়গাটি জনস্বার্থের ব্যবহারের জন্য ভবিষ্যতে আর কোন প্রকার দাবি করবে না এবং লীজ নবায়ন করবে না বলে অঙ্গীকার প্রদান করেন। কিছু দিন না পেরোতেই সে কিছু অসাধু লোকের যোগসাজশে নবায়ন করার জন্য ভূমি অফিসে যোগাযোগ করলে ধনিরামপুর গ্রামবাসী টের পেয়ে জনস্বার্থে লীজ নবায়ন না করায় পুনরায় আরেকটি দরখাস্ত তদন্ত সাপেক্ষে জমা দেওয়া হয়, তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার ভূমি সরোজমিনে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
ভূমি সহকারি কর্মকর্তা জনাব ছগির আহমেদ সরোজমিনে গিয়ে ০৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ও ধনিরামপুর গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে (১) মোঃ হুমায়ুন কোবির সরকার (২) ছবির আহমেদ সরকার (৩) সেলিম রেজা সরকার (৪) জামাল উদ্দিন (৫) গিয়াস উদ্দিন সরকার (৬) শহীদ মিয়া সরকার (৭) হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া (৮) মাকসুদুর রহমান খন্দকার (৯) নুরুল ইসলাম (১০) কবির হোসেন সাবেক মেম্বার (১১) গণেশ সূত্রধর (১২) লক্ষণ সূত্রধর (১৩) হরিপদ চন্দ্র সাহা (১৪) সনু চন্দ্র সূত্রধর (১৬) লক্ষণ দাস, সহ এলাকার ৩০০ শত লোক জনের উপস্থিতিতে তদন্ত শেষে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ছগির আহমেদ বলেন আমার উপরস্থ কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে জনস্বার্থে জন্য লীজ নবায়ন বাতিল করা হবে।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ২০০ টি পরিবারের দাবি যদি উক্ত ডোবা পানি নিষ্কাশনের চলাচলের রাস্তা লীজ নবায়ন দেওয়া হয় তাহলে নবায়নকারি মাটি ভরাট করে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ উঠে। তাই এলাকাবাসী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।