মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় সারে ছয় লাখ মানুষের বসবাস। প্রত্যন্ত এ উপজেলার অধিকাংশ অধিবাসী মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত শ্রেণির। আর্থিক সংকটের দরুন এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা পেতে দ্বারস্থ হতে হয় মুরাদনগর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে।
সরকার গ্রামাঞ্চলের মানুষকে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে মুরাদনগর উপজেলা হাসপাতালের অধীনে রয়েছে আরও ৭টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো হল নগরপাড়, শ্রীকাইল, জাহাপুর, রামচন্দ্রপুর, বাঙ্গরা, হায়দরাবাদ এবং গান্ধ্রা। কিন্তু অন্ত্যন্ত দুঃখজনক হল, এ উপজেলার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোর বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা নিয়মিত আসেন না। এমনকি হাসপাতালের ভবন গুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে কারন ডাক্তার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে থাকেন না। ফলে সংকটাপন্ন কোনো রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে নেয়া সম্ভব হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীকে চিকিৎসা সেবা নিতে ধরনা দিতে হয় বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরপাড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়মিত ডাক্তার হলো ডাক্তার ফারহানা ইয়েসমিন কিন্তু তিনি নিয়মিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার নাজমুল আলমের কাছে ডাক্তার ফারহানা ইয়েসমিন এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জানি ডাক্তার ফারহানা ইয়েসমিন নিয়মিত আসেন তারপরও আমি বিষয়টি দেখব।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মাঝেমধ্যে নতুন নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হলেও দু’একদিন হাজিরা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে আর ফিরে আসেন না তারা। ডেপুটেশনের নামে তারা জেলা সদরসহ রাজধানী ঢাকায় বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে অর্থকড়ি কামাতে ব্যস্ত থাকেন। এর ফলে একদিকে যেমন এলাকাবাসী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; অপরদিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতির শিকার হচ্ছে তারা। নগরপাড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে থাকা হাজার হাজার জনগণের এ দুর্ভোগ ঘোচাতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।