দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিটি। তবে এই জুটিটি শতরানের কাছাকাছি এসে ভেঙে গেছে। ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ করে মুমিনুলকে ফিরতে হয়েছে।
শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন মুমিনুল। ১১৬ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪২ রান। শান্ত ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন, সঙ্গে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে, সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে বাংলাদেশ যায় চা-বিরতিতে।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে লাঞ্চের আগে বেশ দেখেশুনে খেললেও বিরতির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জাকির আর জয়। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জাকির।
৪৬ বলে ৮ রান করে জয় হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্ত-মুমিনুলের ৯০ রানের জুটি।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড খুব বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। লিড নিয়েছে মাত্র ৭ রানের। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে মোটে ১৯ রান তুলে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন তারা।
এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কিউইরা পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই নেই।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম