তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে মিথ্যা মামলার দায় হইতে অব্যাহতি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৫ মার্চ মৌলভীবাজারের আকবরপুর সাকিনস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউট এর সামনের পাকা রাস্তার পাশে কিছু লোক জড়ো হয়ে দেখেন প্রকৃত ঘটনা সর্ম্পকে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বলেন, প্রাইভেট কারের ভেতরে জনৈক একটি ছেলে ও মেয়ে অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। উপস্থিত জনতার কাছে তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক ও (ভিডিওসহ) করে এবং শীগ্ৰই উভয়কে চাপ প্রয়োগ করলে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবে বলে আশ্বস্থ করেন। সেই সময় উপস্থিত জনতা ও ছেলে মেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কিন্তুু ঐদিন দিবাগত রাত অনুমান আড়াই ঘটিকায় মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার এস.আই মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ৬নং একাটুনা ইউনিয়নের মনোহর কোনা গ্রামের জুনেদ আহমদ এর পুত্র রুবেল আহমদ (২৪)কে হাতকড়া পড়িয়ে টানিয়া হেছড়াইয়া ঘর থেকে বাহির করে গাড়ীতে উঠায়। ঐ রাতে ১২নং গিয়াস নগর ইউনিয়নের আকবরপুর গ্রামের তারেক মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে প্রাইভেট কারের ভেতরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা ৩নং কামাল পুর ইউনিয়নের খালিশপুর গ্রামের রবিন আলীর পিতা জমসেদ আলী বাদী হয়ে রুবেল গংদের আসামী করে প্রতিশোধ নেওয়ার হীনমানসে মৌলভীবাজার মডেল থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলা (নং- ১১/৫৬, তারিখ (০৬/০৩/২২ইং) দায়ের করেন। পরবর্তীবে বিজ্ঞ আদালত তাদের অবস্থা বিবেচনায় উক্ত আসামাীদের জামিন দেন।
লিখিত বক্তব্য আরো জানান- বাদী ও গোয়েন্দা পুলিশের চালান ফরওয়াডিং অনুযায়ী বিগত ০৫/০৩/২০২২ ইং দুপুর সোয়া ১ ঘটিকায় বাদীর ছেলে মোঃ রবিন আলীকে অপহরন করিয়া রুবেল ও তার বন্ধুরা মিলে মুক্তিপন দাবী করে এবং বিকাশের মাধ্যমে ১৪,৭০০/ টাকা আদায় করে। প্রকৃত পক্ষে উক্ত টাকা রবিন ও তার প্রেমিকা উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য আনা। গোয়েন্দা পুলিশের চালান ফরওয়াডিং অনুযায়ী ভিকটিমকে সোয়া ১ ঘটিকায় অপহরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মোবাইল লোকেশন সনাক্তের মাধ্যমে ঐদিন দিবাগত রাত অর্থাৎ ০৬/০৩/২০২২ইং রাত ০২:১০ ঘটিকা পর্যন্ত ভিকটিম রুবেল গংদের হাতে জিম্মি ছিল। অথচ ভৈরবগঞ্জ বাজারের স্বাদ ফুড প্রতিষ্ঠানের সি.সি ক্যামেরায় ধারণকৃত সিসি ফুটেজ অনুযায়ী ভিকটিম রবিন আলী বিগত ০৫/০৩/২০২২ইং সন্ধ্যা সোয়া ৭ ঘটিকায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এস.আই মো: মাজহারুল ইসলাম ও তার সহকারী কনষ্টেবল আব্দুল বাছিদ রাফি ও উক্ত মামলার ৩নং স্বাক্ষী আফনান আল ওহির সাথে বসে হাসি খুশি মনোভাবে খাবার খাচ্ছেন। একজন অপহৃত ব্যক্তি ঐ সময় ( মামলা ও ফরওয়াডিং অনুয়ায়ী) জিম্মি থাকার কথা ভিকটিম সেখানে দিব্যি পুলিশের সাথে খাবার খাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে স্পষ্ট বুঝা যায় মামলার বাদী তার ছেলের অপকর্ম ডাকার জন্য পুলিশের সহায়তা নিয়ে অত্র মামলা সৃজন করিয়া, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিয়া আর্থিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং পরিবারের সম্মান হানি করিয়াছে। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে মিথ্যা মামলার দায় হইতে অব্যাহতি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান ভোক্ত ভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রুবেল আহমদ (১), রুবেল মিয়া, মোঃ আনোয়ার পারভেজ, হোসনে আরা আক্তার, রাজনা বেগম, কামরুল ইসলাম, আলিক, সাজিদ আহমদ, তিমির বনিক প্রমুখ।