বিদেশি শ্রমিকের শূণ্যতা পূরণে বদলি শ্রমিক প্রকল্প পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। ২০০৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রক্রিয়াটি আবারও চালু হতে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান জানিয়েছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে এটি চালু হবে।মালয়েশিয়া সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল শ্রমিক দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় কর্মরত থেকে অভিবাসন বিভাগের সব ধরনের নিয়ম মেনে দেশে ফিরেছে তারাই এ প্রক্রিয়ায় পুনরায় মালয়েশিয়া আসার সুযোগ পাবে। পুরনো কর্মীরা আগের মালিকের কোম্পানিতে ফিরে আসতে পারবেন। তবে যেসব কর্মীর বয়স ৪৫ বছরের ওপরে এবং মালয়েশিয়ায় কমপক্ষে ১০ বছর অবস্থান করেছেন; তারা এ প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে পারবেন না। সরকার বিশ্বাস করে, এই পদ্ধতিতে মালয়েশিয়াতে বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে না বরং নিয়োগকারীদের জন্য তার কোম্পানিতে কর্মীদের আগের (অনুমোদিত কোটা) সংখ্যাটি বজায় থাকবে।এতে আরও বলা হয়, একটি কোম্পানিতে সরকার অনুমোদিত ১০০ জন বিদেশি কর্মীর মধ্যে যদি ২০ জন কর্মী তার নিজ দেশে ইতোমধ্যেই চলে যায়, তাহলে ওই কোম্পানি চাইলে ইতোমধ্যে চলে যাওয়া ২০ জন কর্মীর স্থানে নতুন ২০ জন কর্মীর জন্য আবেদন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোটার আবেদন করতে হবে না।কিন্তু এই পদ্ধতিতে নিয়োগকর্তারা কোন দেশের শ্রমিকের বিপরীতে কোন দেশ থেকে শ্রমিকদের পুনঃস্থাপন করতে পারবেন তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আবার মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা অবৈধ কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে পারবে কিনা, সেটিও স্পষ্ট করে বলা নেই ওই বিজ্ঞপ্তিতে।তবে বিদেশি কর্মীদের প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক নিয়োগকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা বার্নামাকে শুক্রবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রমিক নিয়োগের এই পুরনো পদ্ধতি পুনর্বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান। তিনি বলেন, সরকার সব সেক্টরের জন্য বিদেশি বদলি শ্রমিক প্রকল্প পুনর্বহাল করতে সম্মত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে।তিনি বলেন, এই প্রকল্পের পুনর্বহালের ফলে নিয়োগকর্তারা বিদেশি কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে পারবেন, যারা নতুন আবেদন প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের দেশে ফিরে গেছে। এর আগে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সরকার সিস্টেমটি পুনর্বহাল করার অনুমোদন দেয়। ২০১৭ সালে তৎকালীন মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিক নিয়োগের এই পদ্ধতিটি স্থগিত করেছিল।কুলাসেগারান আরও বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত শ্রমিক ঘাটতি সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে; দেশটির শিল্প যে সমস্যাটির মুখে রয়েছে। ভালো পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য, বিশেষ করে রপ্তানির জন্য শ্রমিক সমস্যার সমাধান হবে।এটি এমন একটি অসুবিধার কারণ ছিল যার কারণে নিয়োগকর্তারা সাধারণ আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হতো এবং তাদের বদলি কর্মীদের পেতে আরও বেশি খরচ বহন করতে হতো।এদিকে দুইদিনের বৈঠকের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। কলিং ভিসা কিংবা পুনরায় বৈধকরণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।