আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সিআইএ’র সন্ত্রাসবাদবিরোধী এক অভিযানে জাওয়াহারিকে হত্যার কথা নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যমতে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি বাড়িতে বাস করছিলেন আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আয়মান আল-জাওয়াহিরি। বাসার বারান্দায় জাওয়াহিরির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় সিআইএ। ড্রোন থেকে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সে সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িটিতে উপস্থিত থাকলেও শুধুমাত্র জাওয়াহিরি নিহত হন বলে দাবি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি বছরের শুরুতে জাওয়াহিরির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন তারা। এরপর কয়েক মাস ধরে গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও দেখিয়েছে যতো সময়ই লাগুক আর যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র তার শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করবেই। তার আশা, জাওয়াহিরির মৃত্যুতে নাইন ইলেভেন হামলায় নিহতদের পরিবারগুলো শান্তি পাবে।
জাওয়াহিরিকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কথা বললেও বিবিসিকে এক তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশ করে এই অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, ৭১ বছর বয়সী আয়মান আল-জাওয়াহিরি একসময় পেশায় চোখের সার্জন ছিলেন। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদা’র নেতৃত্বে আসেন। লাদেনের সাথে মিলে জাওয়াহিরির বিরুদ্ধে নাইন-ইলেভেন হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। ২০০০ সালের অক্টোবরে মার্কিন রণতরী ইউএসএস কোলে আত্মঘাতী হামলায় ১৭ নাবিকের মৃত্যুর জন্যও তাকে দায়ি করা হয়।