প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৯০ লাখ কলের মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ আমলযোগ্য কল পেয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা- ট্রিপল নাইন। এই ১৮ শতাংশ কলে তারা দ্রুত রেসপন্স করে সমাধানের পথ বাতলেছেন। কিন্তু বাকি ৭২ শতাংশ কলই ছিলো আমল অযোগ্য কল। তবে ট্রিপল নাইনের সুবিধা পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, আমরা নির্দিষ্ট ঠিকানায় এম্বলেন্স পাঠালেও মানুষ ঠিক মতো ভাড়া দেন না। অনেক সময় লোকেশনও ভুল দেন।
ট্রিপল নাইনে প্রতি মিনিটে কল ঢুকতে পারার সক্ষমতা একশটি। কর্মরত সবার অভিজ্ঞতা প্রায় একইরকম।
তারা জানান, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এম্বুলেন্স- এ তিন ধরনের সহযোগিতা করা হয়, যে সকল বিষয়গুলো জরুরি সেবার ভিতর পড়ে না, সে বিষয়গুলোতে ৯৯৯ থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয় না।
পরিসংখ্যান বলছে, উদ্বোধনের পর থেকে গত ১৪ মাসে ৯০ লাখ কলের মধ্যে সমাধানযোগ্য কল ছিলো মাত্র ১৬ লাখ ২০ হাজার। বাকি প্রায় ৭৪ লাখ কলই আমল অযোগ্য কল। তবে তারপরও মানুষ যাতে ট্রিপল নাইনে কল করতে দ্বিধায় না থাকে, সে জন্য এই সমস্যাতেও বিরক্ত নন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সেবাটি চালুর পর থেকেই মানুষ উপকার পাচ্ছেন। তার সব শেষ উদাহরণ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের আগুনের ঘটনা। উপকার ভোগীরা জানান, ফায়ার সার্ভিস সুবিধা ছাড়াও, মানসিক অবসাদগ্রস্ত আত্মহত্যা করতে উদ্যত মানুষকে ৯৯৯-এ ফোন করে বাঁচাতে পেরেছেন তারা।
নাইন নাইন নাইনে কি ধরণের সেবা মেলে তা ছড়িয়ে দিতে আরও কাজ করা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ভুল ব্যবহারে যাতে প্রকৃত বিপদে পড়া মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতনতার তাগিদ দিলেন সংশ্লিষ্টরা।