করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপের জন্য প্রশংসিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ‘ফোর্বস’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবলায় গৃহীত পদক্ষেপের জন্য প্রশংসিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) এ কথা জানানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসে সমগ্র পৃথিবী আজ ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে বিশে^র ক্ষমতাধর উন্নত রাষ্ট্রসমূহও। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও সম্পূর্ণ অপরিচিত প্রাণঘাতি এই মহামারি মোকাবেলায় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন সততা-নিষ্ঠা দক্ষতা-কর্মকৌশল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মোদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে। করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি তিনি। তাঁর এই দ্রুত সিদ্ধান্তে অতিমাত্রায় সংক্রমিত ভাইরাস করোনার ব্যাপক বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘ, বিশ^ স্থাস্থ্য সংস্থা এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামও শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে চীনে করোনা ভাইরাস হানা দেয়ার পরপরই পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে চীনে আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং ডিভাইস স্থাপন করে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষের স্ক্রিনিং করা হয়, তন্মধ্যে ৩৭ হাজার ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্চের শুরুর দিকে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা ও ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তোলা, করোনা পজেটিভ রোগীদের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ সারা দেশে সম্প্রসারণ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, চিকিৎসক নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবস্থা ও বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও কৃষি খাতসহ বড়-মাঝারি-ক্ষুদ্র উৎপাদনশীল শিল্পখাতে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা, সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কর্মহীন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের জন্য ব্যাপক খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং ১ কোটি রেশন কার্ডের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণে পদক্ষেপ গ্রহণ ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওবাযদুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চরম সঙ্কটেও ধৈর্য্য-সাহস প্রজ্ঞা-বিচক্ষণতা পরিশ্রম ও কর্মকৌশল দিয়ে সম্ভাবনা ও অগ্রগতিকে নিরূপন করতে পারেন। সততা-নিষ্ঠা-মানবিকতা-দেশপ্রেম-সাহস ও জনগণের প্রতি ভালোবাসাই তাঁর শক্তির উৎস। করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জিত আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতিতে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগ গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, প্রাণঘাতি মহামারি করোনা প্রতিরোধে শেখ হাসিনা গৃহীত পদক্ষেপের আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি সংকট মোকাবেলায় দেশেবাসীকে অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং সকলের প্রত্যয়দীপ্ত সম্মিলিত প্রয়াসকে বেগবান করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।