কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিশাল তথ্য ফাঁস করা নিয়ে জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পেগেলের সঙ্গে সংঘাত শুরু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। দুই পক্ষের সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। দুই বছরের রশি টানাটানির পর অবশেষে রায় দিয়েছেন আদালত। রোনালদোর জন্য দুঃসংবাদ, এ মামলাতেও হার হয়েছে তার!
২০১৭ সালে ফুটবলের মহাতারকা রোনালদো ও পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহোর ট্যাক্স ফাঁকি সংক্রান্ত ডের স্পেগেলের এক প্রতিবেদন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন জার্মানির হ্যামবুর্গ আদালত। অনলাইন থেকে শুরু করে সবরকম প্রকাশনী হতে সেই প্রতিবেদন মুছে ফেলার জন্য ম্যাগাজিনটিকে হুকুম দেন আঞ্চলিক কোর্টটি। এর ব্যাত্যয় ঘটলে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো জরিমানারও হুমকি দেয়া হয় ডের স্পেগেলকে।
ফুটবলের গোমর ফাঁস করতে ওস্তাদ ফুটবল লিকসের সাহায্যে ২০১৬ সালে রোনালদো ও মরিনহোর ‘মহা’ ট্যাক্স ফাঁকির খবর প্রকাশ করেছিল ডের স্পেগেল। প্রতিবেদনে উঠে আসে, নিজ নামের স্বত্ব ব্যবহার করে সুইজারল্যান্ড ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে অখ্যাত প্রতিষ্ঠানে প্রচুর অর্থ ঢেলেছেন রোনালদো। ফুটবল লিকসের সঙ্গে ইউরোপের ৬০জন সাংবাদিক একসঙ্গে কাজ করেছেন তথ্য সংগ্রহের জন্য।
মামলায় জিতে আবারও সেই প্রতিবেদন করার অনুমতি পাচ্ছে ম্যাগাজিনটি। নতুন করে আবারও সেই প্রতিবেদন বের হলে মহাবিপাকে পড়ার সম্ভাবনা সিআর সেভেনের। ডের স্পেগেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘বিবাদীর আবেদন জমা রাখতে’ মঙ্গলবার আদেশ দিয়েছেন হ্যামবুর্গ আদালত। আদালতের আদেশ অনুযায়ী মামলা তুলে নিয়েছে আইনি সংস্থা শার্টজ বার্গম্যান। এই সংস্থাটি আবার স্প্যানিশ সংস্থা সান ফেরেরোর সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করে। তাদের মক্কেলের তালিকায় আছেন রোনালদো, মেসুত ওজিলদের মতো তারকার নাম!
গত জানুয়ারিতে স্পেন আদালত থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডসহ বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুণতে হয়েছে রোনালদোকে। তবে ফৌজদারি মামলা না হওয়ায় জেল এড়িয়ে যেতে পেরেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। কিন্তু ডের স্পেগেলের প্রতিবেদনটি নতুন করে বাজারে আসলে আবারও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে তাকে। হ্যামবুর্গ আদালতে রায় অনুযায়ী, ফুটবল বিশ্বের অন্যতম কলঙ্কময় ট্যাক্স ফাঁকির গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যই উঠে এসেছে সেই প্রতিবেদনে। আর প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য সত্য হলে এবার আর জেল এড়াতে পারবেন না জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড!
জেলের শঙ্কা অবশ্য অনেকদিন ধরেই ঝুলে আছে রোনালদোর ঘাড়ে। এই ডের স্পেগেলেই প্রথম দাবী করে, মার্কিন সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়েরগাকে ২০০৯ সালে ধর্ষণ করেছিলেন সিআর সেভেন। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার আদালতে ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াধীন আছে ধর্ষণ মামলাটি। গত সপ্তাহে নতুন করে অভিযোগ দাখিল করেছে নেভাডা পুলিশ। অবশ্য সে মামলায় উল্লেখ করা হয়নি নির্দিষ্ট কোনো আসামির নাম।
সূত্র : নিউজ ২৪