সম্প্রতি `ময়ে ময়` নিয়ে মিম, ভিডিও দিয়ে ভরে গেছে ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যদিও আমাদের বেশির ভাগেরই ধারণা নেই যে `ময়ে ময়ে` বলতে কী বোঝায়। তবে প্রায় সবারই নজর কেড়েছে ‘ময়ে ময়ে’ মিমটি। রীতিমতো সবার মুখে মুখে এখন এটাই চলছে।
আসলে এটি একটি সার্বিয়ান গান যা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে৷ ময়ে ময়ে গানটির একটি অংশ টিকটকে প্রথম ট্রেন্ড করা শুরু করে এবং সেইখান থেকেই মানুষ গানটি বিভিন্ন রিলস এবং ভিডিওতে ব্যবহার করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ফেসবুক রিলস এবং ইউটিউব শর্টসের মধ্যে এই সার্বিয়ান গানটি ভাইরাল বা জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে গানটি নিয়ে এখন তরুণ সমাজ মিম বানানো শুরু করে যা হয়ে উঠে ট্রেন্ডি এবং সবার বিনোদনের উৎস।
“ময়ে ময়ে”- এর উচ্চারণ আদতে হবে “ময়ে মোর”। মজাদার ছন্দ এবং ঘন ঘন পুনরাবৃত্তি “ময় ময়” সবার নজর কেড়েছে। যদিও কেউ কেউ এটি উপভোগ করে, অন্যরা তাদের মাথায় আটকে যাওয়ার জন্য গানটি নিয়ে মজা করে। কয়েকদিন ধরেই এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে উঠেছে।
শুধু তাই নয় এই গানটি ভাইরাল হওয়ার পর এর বাংলা এবং পাঞ্জাবি ভার্সনও রিলিজ হয়। “ময়ে ময়ে” নামে একটি বাংলা নাটকও রিলিজ হয় ইউটিউবে। মহিন খানের লেখা ও নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেন নিলয় আলমগির এবং জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।
মূল গানটির নাম ‘ড্যানাম’। আর ভাইরাল এই গানটি গেয়েছেন সার্বিয়ার গায়িকা ও সুরকার তেয়া দোরা। গানের কথাগুলো যৌথভাবে লিখেছেন তেয়া দোরা ও সার্বীয় র্যাপার স্লোবোদান ভেলকোভিক কোবি। সুর দিয়েছেন লোকা জোভানোভিক।
মূলত সার্বীয় ভাষায় ‘মরে’ শব্দের অর্থ দুঃস্বপ্ন। এই গানের কথা ও সুরে বিষাদ ছড়ানো আছে। গানে না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে। শিল্পী তেয়া দোরা গানে বলছেন, দিনের পর দিন তাকে দুঃস্বপ্ন (মরে) তাড়া করে বেড়ায়। এই দুঃস্বপ্ন তার হতাশা ও বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। দুঃস্বপ্নের ঘোরের মাঝেও খড়কুটো ধরে বাঁচতে চান। গায়িকা চান, কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াক। তাকে কেউ বুঝুক, মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিক।
গত ২২ মার্চ গানটি সার্বিয়ার সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেইম ও জুনির ভেতারের ব্যানারে ইউটিউব ও স্পটিফাইতে মুক্তি দেওয়া হয়। বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত জুনির ভেতারের ইউটিউব চ্যানেলে এটি প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ ভিউ পেয়েছে।
রিলিজের ৬ মাসেরও বেশি সময় পর এ সপ্তাহে টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর ভিউ বেড়েই চলেছেন গানটির। পাশাপাশি স্পটিফাইতেও সাড়ে ৭ কোটি বার শোনা হয়েছে এই গানটি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম