চীনের গবেষণাগারে এমন একটি নতুন ওষুধ উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার থামিয়ে দিতে সক্ষম বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। সায়েন্স জার্নাল ‘সেল’এ প্রকাশিত একটি আর্টিকেলের বরাতে মঙ্গলবার (১৮ মে) এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এএফপি জানায়, চীনের খ্যাতনামা পিকিং ইউনিভার্সিটি’র কয়েকজন গবেষক নতুন ওই ওষুধ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ওষুধটি একইসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির সেরে ওঠা তরান্বিত করে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বল্পমাত্রার ‘ইমিউনিটি’ও তৈরি করে।
৬০ জন আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়ে তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা।
এদিকে বেইজিং অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জিনোমিকের পরিচালক সানি জি বার্তাসংস্থা এএফপিকে ওই ওষুধের ব্যাপারে বলেন, ইতোমধ্যেই ওষুধটি প্রাণীর ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েকটি নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ইঁদুরের অ্যান্টিবডি নিস্ক্রিয় করতে ওই ওষুধ প্রয়োগ করার পাঁচ দিন পর, ইঁদুরগুলোর দেহ থেকে ভাইরাস কমে আসতে দেখা গেছে।
সান জি আরও বলেন, তার মানে ওই ওষুধের কার্যকরিতা রয়েছে। এখনও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এর শেষধাপের ট্রায়াল চলছে। অচিরেই এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে। এবং বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসতে পারে ওষুধটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা পদ্ধতি ও ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বব্যাপী শতাধিক প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।