অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ভূরুঙ্গামারীতে মানুষকে বান মারার কাজে ব্যবহৃত মৃত মানুষের মাথার খুলি ও হাড্ডিসহ এক কথিত কবিরাজকে আটক করে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে স্হানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে (২২ জুলাই) উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে।
স্থানীরা জানিয়েছে, ওই গ্রামের আয়নাল হক সর্দারেগ্ররাম বাড়ির সামনের গেটে শত্রুতাবশতঃ কে বা কারা তাদেরকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে প্রায়ই মরা মানুষের কাফনের কাপড়, সিদুর মাখা জবা ফুল, সিদুরের ফোটা ইত্যাদি দিয়ে আসছে। এলাকাবাসী ও আয়নাল হকের দাবী এসব কবিরাজীর কারনে তার স্ত্রী মোছাঃ জুলেখা বেগম কয়েকবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে কোন সুফল না পেয়ে অন্য এক কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করান।
এ ঘটনায় কথিত কবিরাজকে হাতেনাতে আটক করতে তারা বাড়িতে নজরদারী রাখেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) আয়নাল হক সর্দারের প্রতিবেশী জনৈক লিটন মিয়ার বাড়িতে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের মৃত রফাতুল্লাহর পুত্র কথিত কবিরাজ আব্দুস ছাত্তার (৫০) আসে। সেখানে বিভিন্ন মন্ত্র তন্ত্র পড়ে ঝাড় ফুক দিয়ে তান্ত্রিক কবিরাজী শুরু করে। এসময় আয়নাল হক সর্দার তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাবেন বলে কবিরাজকে জানালে ওই কবিরাজ অন্যকাজে ব্যস্ত এবং চিকিৎসা করাতে পারবেন না বলে জানালে তাদের সন্দেহ হয়।
পরে কথিত কবিরাজ লিটনের বাড়িতে কাজ সেরে বাড়িতে ফেরার সময় উক্ত আয়নাল হক সর্দার ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা ব্যাগের ভিতর থেকে একটি মরা মানুষের মাথার খুলি,হাড্ডি ও বান মারার কাজে ব্যবহৃত কবিরাজী জিনিসপত্র উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ একটি মরা মানুষের মাথার খুলি,হাড্ডি ও বান মারার কাজে ব্যবহৃত কবিরাজী জিনিসপত্রসহ কথিত কবিরাজ আব্দুস ছাত্তারকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, কথিত কবিরাজকে শুক্রবার রাতে থানা হেফাজতে নেয়ার পর পুলিশ বাদী হয়ে দঃবিধি ১৫১ ধারায় মামলা দায়ের পুর্বক আজ শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।