মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ অনিয়মের কারণে নয় ভূমি ধসে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ঘর ভেঙেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন। গেল শনিবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ভেঙে পড়া ঘর পরিদর্শন করতে ৫ সদস্যের একটি টিম নিয়ে আসেন তিনি। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুর্যোগসহনীয় ঘর অবহেলা ও অনিয়মের কারণে ভেঙ্গে পরেনি। ভূমি ধসের কারনে পাকঘর ও টয়লেট ধসে পরেছে। এগুলো টেকসই করতে আরসিসি পিলারও দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি। পরবর্তীতে এমন যেন আর না হয় সেজন্য বাড়ীর সামনে শস্যক্ষেতের পানি, ঘরে প্রেসার না করে তার জন্য ঘরের সামনে দিয়ে স্থায়ী ড্রেনেজ নির্মান করে পানিগুলো খালে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাহলে এই ঘরগুলো রক্ষা পাবে।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ময়নুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাবরিনা মারমিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, পিআইও ছামছুন্নাহার শিউলী, উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলজিইডি আব্দুর রশিদ।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় অতিদরিদ্র ভূমিহীনদের জন্য সরকারিভাবে আধাপাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে মোতাবেক শেরপুর উপজেলায় দুই কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে দুই শতক করে খাসজমি বন্দোবস্ত দিয়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে অতিদরিদ্র ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে একটি করে আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়। দুই কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেটসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রত্যেকটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় খানপুর ইউনিয়নের খানপুর কয়েরখালি এলাকায় বুড়িগাড়ি নামক স্থানে খালের কিনারায় ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২টি আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সুফলভোগীদের হাতে এসব বাড়ির জমির দলিল ও বাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে দুর্যোগসহনীয় সাতটি ঘরের একাংশ করে ভেঙে পরে।