যার সংগেই কথা হয় বলে, দেশ ভালো নেই। কেন ভাল নেই তা বলেনা তবে, বিভিন্ন জনের ভাল না থাকার ভিন্নতা আছে। কেউ বলে দেশ ধংস হয়ে গেছে, কেউ বলে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে আবার, কেউ বলে দেশের ব্যাবসাপাতি ভাল যাচ্ছেনা। কিন্তু দেশের অবস্থা এর চেয়ে ভাল কবে ছিল জানিনা। রাজনীতির কথাও যদি বলি, হরতাল আর সংঘাতে জনজীবন অতিষ্ঠ ছিল। এখন সেই অবস্থাটিরও পরিবর্তন হয়েছে। দেশের উৎপাদন আর রপ্তানী রেকর্ড ছুঁয়েছে। তাহলে দেশের খারাপটা কি হলো? ঘুষ বানিজ্য আর দুর্নীতি ব্যাহত হওয়ায় যদি কারো দেশ ভাল নেই মনে হয়ে থাকে হতে পারে। যে কোন দেশের উন্নয়ন বিচার করে কিছু প্রতিষ্ঠান। সেই সব প্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় সব সুচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। তাহলে লোকের এমন নেতিবাচক অভিব্যক্তি কেন? কেন তারা বলছে দেশ ভাল নেই? কারনটি যদি রাজনৈতিক হয় তাহলে ভাবনার বটে। কি কারনে তারা দেশকে মন্দ দেখছেন? করোনা কিংবা বন্যার মধ্যেও কোন অনিয়ম ঘটেনি। যে ক’জন চেষ্টা করেছে তারা এখন শ্রীঘরে। সরকারের সফলতা যদি প্রতিপক্ষের বিফলতা হয় তাহলে বলার কিছু নেই। এমন বিফলতা মেনে নেওয়াও সহজ নয়। যারা তৃতীয় পক্ষ হওয়ার চেষ্টা করেছে তারাও মূখ থুবরে পরেছে। অসত্য প্রচারনা আর ষড়যন্ত্র যদি রাজনীতি হয় তাহলেও ভীত হওয়ার কারন আছে বৈকি!
একটি ভীতি অবশ্যই আছে- ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের কথা,শোনা যাচ্ছে প্রায়ই। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও ষড়যন্ত্র চলছে সরকারের বিরুদ্ধে। আরেকটি ১৫ই আগষ্ট ঘটানোর হুঁশিয়ারী দিয়েছে বিরোধী দলের নেতারাও। সম্প্রতি কিছু প্রচারনা দেখে ভয় হয়েছে আমাদেরও। ভয়টি হলো কে এবং কারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। দলের নেতারাও জড়িত আছে কিনা খুঁজে দেখার সময় হয়েছে। দলের ত্যগী এবং প্রকৃত কর্মীরা দলের সুনাম বিনষ্ট করবেনা। যারা ধরা পরেছে তারা অনুপ্রবেশকারী। এই অনুপ্রবেশকারীরাই নানা অপকর্মের জন্ম দিয়েছে। এই চিহ্নিত ব্যাক্তিদের দল থেকে বের করার দাবী উঠেছে, চলছে শুদ্ধি অভিযান। এই অভিযানেই বেড়িয়ে পরবে কে এবং কারা অনুপ্রবেশকারী। ভয়টি হল, এরা ক্ষমতাশালী। এদের সংগী সাথীরাও ক্ষমতাবান। জননেত্রী বলিষ্ঠ কন্ঠে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। এই অভিযান সচল থাকলে দেশে কোন ভয় আছে বলে মনে করিনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৩ সেপ্টম্বর ২০২০।