সম্প্রতি ভারতে ৩ হাজার বছর আগের পিরামিডের সন্ধান পেয়েছেন নৃতত্ত্ববিদেরা। আসলে এটি পুরোনো এক সভ্যতার সমাধিস্থল। এই সমাধিস্থল থেকেই উঠে এসেছে একের পর এক অজানা বিষয়। প্রকাশ্যে এসেছে অজানা এক সভ্যতার জীবনযাপনের ধারা এবং সংস্কৃতির কথা। খবর-বিভিন্ন আওন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ভারতের বৈদিক যুগের শুরুতে গড়ে উঠতে শুরু করেছে বেদচর্চার আশ্রম। তখন ভারতে গড়ে উঠে বেগাজি ডান্ডিবাই সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫০ শতকে এই সভ্যতার পত্তন। তবে পতনও হয়েছিল ২০০ বছরের মধ্যেই। প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো ওই সমাধিস্থলটি উদ্ধার করে চমকে গিয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। কার, সমাধিস্থলটি ছিল একটি ছোটখাটো পিরামিড। বেগাজি-ডান্ডিবাইয়ের এই পিরামিড উচ্চতায় ছোট কিন্তু আকারে বড়। জমি থেকে এর উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট হলেও দৈর্ঘে ৯৮ ফুট এবং প্রস্থে ৬৫ ফুট বিস্তৃত।
গবেষকেরা পিরামিডে প্রবেশ করে দেখতে পান, জায়গায় জায়গায় পাথরের শবাধারে সার দিয়ে রাখা দেহ। তাদের দাবি, এই পিরামিড আসলে তৈরি করা হয়েছিল ওই সভ্যতার অভিজাত এবং উচ্চস্তরীয়দের সমাধিস্থ করার জন্য। প্রত্যেক শবাধারের ভিতরে ছিল ব্রোঞ্জের অস্ত্র, মাটির পাত্র এবং পশু-পাখির হাড়গোড়ও। এ থেকে সে যুগের আধ্যাত্মিক ভাবনাচিন্তারও আভাস পাওয়া যায়।
করাগন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইতিহাস গবেষকেরা কাজাখাস্তানের স্তেপ অঞ্চলে আরও আবিষ্কার করেন, ৩ হাজার বছরের পুরনো এই পিরামিডটি এক সুপরিকল্পিত শহরের ভেতর অবস্থিত। সে যুগে ১৫ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল সেই শহর। শহর জুড়ে ছিল প্রশস্ত রাস্তার জাল। সেই রাস্তা কোথাও কোথাও আবার গোলকধাঁধার মতো। শহরের সেই গোলকধাঁধায় প্রবেশের জন্য ছিল এক বিশাল তোরণও।
গবেষকেরা জানান, এই শহরের বাসিন্দারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো পেশায় যুক্ত ছিলেন। তবে মূলত ধাতু শিল্প এবং বাণিজ্যেই এঁদের আগ্রহ ছিল বেশি। সভ্যতায় পশুজাত পণ্যের পেশাও প্রচলিত ছিল। সমাজে উচ্চ-নীচ ভাগও ছিল। ধাতু শিল্পের পেশায় যারা ছিলেন, তাদের স্বাভাবিক নিয়মেই সমাজের অভিজাত স্তরে উত্থান হয়েছিল।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:০৩ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/এমআরবি