প্রতিবেশী দেশ ভারতে একদিনে বজ্রপাতে মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বিহারে মারা গেছে ১৮ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ১৩ জন।
এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত যে হতে পারে, তা নিয়ে আগাম সতর্ক করেছিল দেশটির আবহাওয়া দফতর। বাড়ির বাইরে বেরোলেও দুর্যোগের সময় লোকজনকে খোলা জায়গায় দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু লোকজন এতটা গুরুত্ব না দেওয়ায় এ ঘটনাগুলো ঘটল।
সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বৈশালি জেলার রাঘবপুর ব্লকে বজ্রপাতে ৪ জন মারা গেছে। এ ছাড়া রোহতাস, ভোজপুর, গোপালগঞ্জ ও সারান জেলায় ২ জন করে মারা গেছে। পাটনা, বেগুসরাই, আরারিয়া, সুপাউল, কাইমুর ও অন্য আর একটি জেলায় একজন করে বজ্রপাতে মারা গেছে।
অন্যদিকে, বিহারের কেন্দ্রীয় সরকার মধুবনী, কাটিহার ও গয়ায় বজ্রপাত ডিটেকশন কেন্দ্র তৈরি করেছে। সেখান থেকে লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্যোগ এখনও না কাটায়, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
বিহার সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই রাজ্যে ৩৩০ জনেরও বেশি মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২৪ জুন সরকারি হিসেবে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে।
একই দিনে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ত্রাণ কমিশনার সঞ্জয় গোয়েল জানিয়েছেন, গজিপুরে চারজন মারা গেছে। এছাড়া কৌশাম্বিতে তিনজন, খুশিনগর ও চিত্রকূটে দু’জন করে মারা গেছে। জৌনপুর ও চন্দৌলিতে একজন করে মারা গেছে।
এদিকে বিহার সরকারি কর্মকর্তারা রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, দুর্যোগের সময় লেক, পুকুর, গাছাপালা থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। বিদ্যুত্তের ধাতব খুঁটি থেকেও দূরে থাকতে বলা হয়েছে। মেঝেতে শুতেও বারণ করা হয়। এমন বিরূপ আবহাওয়ার দিনগুলোতে খুব প্রয়োজন ছাড়া দুর্যোগের মধ্যে লোকজনকে বাড়ির বাইরে বেরুতে নিষেধ করা হয়েছে।