বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে ফিশিং ট্রলারসহ আটক হয়ে কারাগারে যাওয়া ৯০ বাংলাদেশি জেলে ও নাবিক মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসে পৌঁছেছেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পতেঙ্গার কর্ণফুলী চ্যানেলে এসে পৌঁছান তারা। ফেরত এসেছে বাংলাদেশের এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫ নামের দুটি ফিশিং ভেসেলও।
এফভি মেঘনা-৫ জাহাজের ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস জানান, গত ৯ ডিসেম্বর ওই জেলে নাবিকেরা সাগরে বর্ডার লাইনে ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে আটক হন। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও সরকারের সহযোগিতায় তারা মুক্ত হয়েছেন। এ সময়ে রসদ ও জ্বালানিজনিত কোনো সমস্যা হয়নি তাদের। আজ মোট ৯০ জন জেলে ও নাবিক ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে মেঘনা-৫-এর ৩৭ জন, লায়লা-২-এর ৪১ জন এবং এর আগে আটক ১২ জন রয়েছেন।
এর আগে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক জলসীমায় হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
সিএমপির পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ভারতের হাতে আটক থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মী এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও নৌকর্মীর পারস্পরিক হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। তারই অংশ হিসেবে ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ জন বাংলাদেশি নৌকর্মী ও আটক নৌযান পতেঙ্গায় ফিরে এসেছেন। আটক নৌযান দুটি হলো এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার কাছে ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং ভেসেলসহ মোট ৭৮ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফবি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। সেখানে থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলে বা নৌকর্মীকে ভারত আটক করে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে তাদের কারামুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:১৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি