আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভয়াবহ টর্নেডোতে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ রাজ্য লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। নিহতের সংখ্যা একশ জন ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়াও টর্নেডোর আঘাতে এসব এলাকার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর আলজাজিরা।
টর্নেডোকে ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড়’ দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জো বাইডেন। টর্নেডোর আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য কেন্টাকিকে গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জরুরি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই রাজ্যে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, এটি একটি ট্র্যাজেডি। আমরা এখনো জানি না এই আঘাতে কতজন মারা গেছেন এবং কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমার সরকার তা করার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা চালাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে শুক্রবার শক্তিশালী ঝড় হানা দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ২৪টি টর্নেডো স্থলভাগে তাণ্ডব চালায়। এসময় বিরামহীন বজ্রপাত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইলিনয়ে অ্যামাজনের একটি গুদামে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েছে। টর্নেডো আঘাত হানার পর কেন্টাকিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ওই টর্নেডোকে রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডো হিসেবে অভিহিত করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষতি হয়েছে গ্রেভ কাউন্টি নামক এলাকায়। ওই কাউন্টির মেফিল্ড শহরে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো। এই টর্নেডোতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কেন্টাকি ছাড়াও আরাকানসাস, ইলিনয়স, মিশউরি ও টেনিসি রাজ্যে সবমিলিয়ে ২৪টি টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে। আরাকানসাসে এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।