সুশান্তের চর্চিত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গেল ২৬ জুলাই পটনা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা। রিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির জামিন অযোগ্য (৩০৬, ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬, ৪২০) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের বাব। তাঁর কথায় রিয়ার প্রথম থেকেই নজর ছিল তাঁর ছেলের অর্থ এবং সম্পত্তির দিকে। সুশান্তের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিং আর বিদেশ ভ্রমণই নয় জোর করে খুলিয়েছিলেন তিনটি কোম্পানি। আর সেই তিনটি কোম্পানির অংশীদার রিয়া এবং তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। সৌভিককেও ইতোমধ্যে জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ। এছাড়াও সুশান্তকে জোর করে বান্দ্রার এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে শিফট করান রিয়া। তা কিন্তু প্রথমে সুশান্তের বাড়ির লোকও জানতেন না।
মার্চ মাসে হঠাৎ করেই সুশান্তের এক বিশ্বস্ত দেহরক্ষীকে সরিয়ে দেন রিয়া। সমস্যা করেন সুশান্তের কর্মচারীদের সঙ্গেও। সুশান্ত মানসিক সমস্যায় ভুগলে কিছুতেই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে বা বাড়ির লোকের কাছে জানাতে দিতে চাননি রিয়া। সুশান্ত কার সঙ্গে মিশবেন বা কথা বলবেন তা ঠিক করত রিয়ার পরিবার। সুশান্তের ফ্ল্যাটের যাবতীয় দায়িত্ব জোর করে নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়েছিল রিয়া। এমনকী বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিস সরিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ সুশান্তের বাবার। পরিবারের সঙ্গে সুশান্তের ভালো যোগাযোগ থাকুক এমনটা চাইত না রিয়া। সুশান্তকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখতেন তিনি এমনও অভিযোগ করেছে সুশান্ত ঘনিষ্ঠরা।
এছাড়াও একবার খুব কড়া ডোজের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাইরে সুশান্তের বন্ধুদের বলেছিল ‘ওর ডেঙ্গি হয়েছে’। সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল রিয়া। ভীষণ ভাবে সুশান্তের কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করত। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে রিয়ার কোনও যোগাযোগই ছিল না। এমনকী সুশান্তের মৃত্যুর পর অঙ্কিতা লোখন্ডে,কৃতি শ্যানন ফোন করে সুশান্তের বাবার সঙ্গে কথা বললেও রিয়া কোনওদিন একটাও ফোন করেননি। বাবার আক্ষেপ, অঙ্কিতার মতো মেয়ে সুশান্তের জীবনে থাকলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটত না।