আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে আসছে বড় ধরণের পরিবর্তন। থাকছে না আর মান নির্ধারণের জিপিএ । নতুন করে ভাবা হচ্ছে সিজিপিএ পদ্ধতি, যা বর্তমানে উচ্চ শিক্ষায় চালু রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীর স্ট্যান্ডার্ড মূল্যায়ন আরো সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকের সমন্বয়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। এদিকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে পাবলিক পরীক্ষার সময় কমিয়ে নিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, পাবলিক পরীক্ষার মাঝে শিক্ষার্থীদের যে দীর্ঘ সময় বিরতি দেয়া হয় তাতে তাদের খুব বেশি উপকার হয় না।
প্রস্তাবিত এ পদ্ধতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠবে।
তবে গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়নে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, একটা প্রস্তুতির জায়গায় সবাইকে নিয়ে যেতে হবে। হঠাত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে আমাদের ওপর চাপ পড়ে।
বর্তমান গ্রেডিং পদ্ধতিতে অনেক সময় স্বল্প নম্বরের ব্যবধানে শিক্ষার্থীর জিপিএ আশাতীত বদলে যেতো, যা কিনা একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করতো। তবে নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে উচ্চ শিক্ষার হার আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।