ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে জানাজায় লোক সমাগমের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মো. সাহাদাত হোসেন টিটুকে প্রত্যাহারের পর এবার সার্কেল এএসপি মাসুদ রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানা তাদের প্রত্যাহার ও তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জানাজায় মানুষের ঢল নামার ঘটনার বিষয়ে ওসি কেন ব্যবস্থা নিতে পারলেন না। উনি কি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উনার সার্কেল এএসপি মাসুদ রানা এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ব্যর্থতার জন্য দুজনকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোহেল রানা আরও জানান, এ ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিকে (প্রশাসন ও অর্থ) সভাপতি করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)।
কমিটিকে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে জেলার ২ উপজেলার ৭টি গ্রামের বাসিন্দাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করতে ৭ গ্রামকে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গ্রামগুলোতে নির্দেশনার বিষয়ে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়।
লাকডাউন গ্রামগুলো হল- আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা, বৈগইর, মৈশাইর, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শান্তিনগর, সীতাহরণ, বড়ইবাড়ি ও বেড়তলা। এই গ্রামের কেউ আগামী ১৪দিন বাড়ি থেকে বের হলেই আইন শৃঙ্খলাবাহীনি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় জুবায়ের আহমদ আনসারী প্রতিষ্ঠিত জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি