ব্যাংক কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা না কমানোর জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) কাছে দাবি জানিয়েছে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডব্লিউএবি)।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ বিষয় বিএবি’র কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
বিডব্লিউএবি‘র সভাপতি কাজী মো. শফিকুর রহমান বলেন, মহামারি করোনার সময়ে ব্যাংকাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এ সময় কর্মীদের ব্যাংকারদের বেতন-ভাতা কমানো কোনোভাবেই ঠিক হচ্ছে না। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙে যাবে। তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে, কর্মস্পৃহা কমে যাবে। চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কর্মচাঞ্চল্য অব্যাহত রাখার জন্য কর্মকর্তাদের মনোবল ও দক্ষতা অটুট রাখা এবং অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর বিপরীতে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বভাবতই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা কমানো যাবে না। সেই সঙ্গে সাধারণভাবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টও চালু রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে ব্যাংকের বাৎসরিক মুনাফার ভিত্তিতে ইনসেন্টিভ বোনাস চালু রাখার পাশাপাশি ব্যাংকের প্রণীত ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বিবেচনা করা এবং সব ব্যাংক যেন একই ধরনের পদোন্নতি ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে তার ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া কর্মকর্তাদের একই গ্রেডে বিভিন্ন ধরনের ডেজিগনেশনের পরিবর্তে সব ব্যাংকে একই ধরনের (যেমন- অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, এভিপি, ভিপি ইত্যাদি) ডেজিগনেশন নির্ধারণ ও অনুসরণ করার ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।