আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডা: বি এন পি মহাসচীব ফখরুল ইসলাম আলিমগীর দাবী করেছেন সরকার ব্যর্থ। করোনা রোধে সরকার কিছুই করছেনা। ব্যর্থ শব্দটি এই নেতার খুব পছন্দ। যখনই বক্তৃতা করেন শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি নীজেই যে ব্যর্থ তিনি তা বোঝেনওনা। নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায় তার উপরই দিয়েছে দল। প্রার্থী নির্বাচন আর প্রচারনায় ব্যর্থ ফখরুল। অন্যের উপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন- ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচীত হয়েও শপথ নেননি কারন ব্যর্থ তিনি। সংসদে গিয়েও দলের কতৃত্বটি ধরে রাখতে পারবেননা লন্ডনের প্রেস্ক্রিপশনেই কথা বলতে হবে তাই শপথই নেননি- ব্যর্থ তিনি। সন্তানের বয়সী তারেকের ধমকেই তিনি ভরকে যান কারন তিনি ব্যর্থ। দলের কর্মীরাও ক্ষুদ্ধ হয়ে তার বাড়ীতে ডীম ছুড়েছে। কর্মীদেরকে শান্ত করতে পারেননি। বেগম জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন ফখরুল। জিয়া পরিবারের সদস্যরাই সরকারের সাথে সমঝোতা করে জামিন নিশ্চিত করেছে বেগম জিয়ার। জামিনের পরে নেত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে বেগম জিয়া ফখরুলের উপর চটেছেন। কারন তিনি কোন কার্যকর আন্দোলনই করতে পারেননি। নেত্রীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। স্থায়ী কমিটির সভাতেও ব্যর্থ ফখরুল। অনেকেই দায়ী করেছেন ফখরুলকে।
নির্বাচনে পরাজয়ের দায় চাপিয়েছেন ফখরুলের উপর- কারন তিনি ব্যর্থ। এত ব্যর্থতা শুনে শুনে শব্দটি মুখস্থ হয়েগেছে ফখরুলের। কোনখানে বক্তৃতা করতে গেলেই ব্যর্থ শব্দটি মূখ ফসকে বেড়িয়েই যায়। বিগত ১১ বছরে জনাব ফখরুলের সব বক্তৃতা শোনা গেলে এই “ব্যর্থ” শব্দটিই শোনা যাবে বেশী। কিন্তু আসলেই কি সরকার ব্যর্থ? কোন কোন ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ হয়েছে একটু খতিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে। বি এন পি এবং বি এন পি ঘরানার নেতাদের সত্য বলার অভ্যাসটি শেখাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। দেশের উন্নয়ন এবং উন্নতি দেখাতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে এই নেতাদের। বি এন পি এবং তাদের জোটভুক্ত নেতাদের জাতীর পিতাকে সম্মান দেওয়া শিখাতে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষিত মানুষগুলিকেও দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ভুলভাবে ব্যখ্যা দেন। তাদের সত্য ইতিহাস বলা শেখানো যায়নি। এটা সরকারের ব্যর্থতা বটে। স্বাধীনতা যূদ্ধের বিরোধিতাকারি দল জামাতকে বি এন পি থেকে সরানো যায়নি- এটা সরকারের ব্যর্থতা। ভারতে মমতার দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে ” জয় বাংলা” শ্লোগান দেয়। বি এন পি’কে জ”জয় বাংলা” শেখানো যায়নি। স্বাধীনতার মৌলিক স্তম্ভ এবং লক্ষ্যটিও তারা মানেনা। দেশের সত্য ইতিহাস জেনেও দাবী করে জিয়া স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। সরকার এই চরম মিথ্যাটি বোঝাতে পারেনি বি এন পি পিন্থি অনুসারীদের। এই ব্যর্থতাই দেশকে বিভাজন করে রেখেছে।
রাজনীতি অপরাজনীতিতে পরিনত হয়েছে। জামাত শিবির কিংবা হেফাজতের সাথে গোপন ষরযন্ত্র করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে স্বচেষ্ট হয়েছে বি এন পি। অপশক্তিকে নির্মুল করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বিষ ফোরার মত নিত্য অনুযোগ করে দেশ সমাজ আর উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ্য করছে ব্যর্থ রাজনীতির অপকৌশলে। বিশ্ব যখন বাংলাদেশের পরিবর্তন দেখে, উন্নয়ন দেখে বিশ্বয় প্রকাশ করে। জনাব ফখরুলরা তখন ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই দেখেননা। এখন হয় তাদের চোখ পরীক্ষা করে চশমার লেন্স বদলাতে হবে নাহয় জোর করে দেখিয়ে দিতে হবে ” দেখো উন্নয়ন কারে কয়”।