মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-পশ্চিমা লঘুচাপে ঝড়ো হাওয়া,শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাতে যশোরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুইদিনের বৈরী আহবাওয়ায় ফসলের ক্ষেত,ইটভাটা,আমের মুকুল,বাড়িঘর ও গাছপালার বেশি ক্ষতি হয়েছে।বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান,দুইদিনের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে তিনটি উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এরমধ্যে অভয়নগরে ৩৩টি পরিবারের বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। দেয়াল চাপায় একটি গরু মারা গেছে।মণিরামপুর উপজেলায় বাওড়ের পানিতে নৌকা ডুবে মৌসুমী(১৬)নামে এক দাখিল পরীক্ষার্থী মারা গেছে।অপরদিকে শার্শা উপজেলা বজ্রপাতের জয়নাল আবেদিন নামে এক ইটভাটা শ্রমিক নিহত হয়েছে।তিনি আরও বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ত্রাণ সহায়তার প্রদানের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারণে যশোরের বিভিন্ন এলাকার গাছগাছালির ডালপালা ভেঙ্গে যায়।ঝড় ও বৃষ্টির কারণে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পানের বরজ,আমের মুকুল ও মসুরি ও রসুন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।ইটভাটাও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।টানা বৃষ্টির কারণে যশোরের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।ভোর সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বৃষ্টির জন্য রিকশা ও ইজিবাইকের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অফিসগামী লোকজনকেও ঠিক একই সমস্যায় পড়তে হয়।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান,বৃষ্টির কারণে বোরো আবাদে আশির্বাদ হলেও অন্যসব ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে।রবিশস্য,আমের মুকুল ও পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে শিলাবৃষ্টির কারণে জেলার সদর,অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার বেশকিছু এলাকার পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শার্শা ও ঝিকরগাছায় আমের মুকুল,মুসুরী,সরিষা ও রসুন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও কম বেশি ক্ষতি হয়েছে।তবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে একটু সময় লাগবে।