বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চে থাকা হতভাগ্য ৩২ জন যাত্রীর মরদেহ পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি ওঠে চারপাশ। শনাক্ত করার পর স্বজনেরা মরদেহ বুঝে নেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে কেউ নিয়ে যান বাবার মরদেহ আবার কেউ সন্তানের।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে সদরঘাটের কাঠপট্টি ঘাটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনীর হেকিপ্টার এবং র্যাব উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
লঞ্চডুবির ঘটনায় মরদেহগুলো উদ্ধার হওয়ার পর মিটফোর্ড হাসপাতালে এনে সারি করে রাখা হয়। পরে, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ি সাইফুল মাতব্বর। ব্যবসার কাজে প্রতিনিয়ত মুন্সীগঞ্জে যেতেন। সোমবার ফেরার পথে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবিতে মারা যান। মিটফোর্ড শ্বশুরের অপেক্ষা মেয়ের জামাইয়ের মরদেহের জন্য। তার মতো অনেকেই ছুটে আসেন হাসপাতাল মর্গে।
সারি করে রাখা মরদেহ ভর্তি একটি একটি করে ব্যাগ খোলা হচ্ছিল। শনাক্ত করতে দেখানো হচ্ছিল অপেক্ষায় থাকা স্বজনদের।
এদিকে এ লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেয়া হবে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রাথমিকভাবে মরদেহ দাফন বা সৎকার করতে মারা যাওয়া প্রত্যেকের স্বজনদের দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে।