মোঃ জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা আর শঙ্কার মধ্য দিয়ে সম্পুর্ন হলো লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের ইউপি নির্বাচন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রথম প্রহর থেকে শেষ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে এর মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রার্থীদের অভিযোগ ছিলো তাদের এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, ভোটারদের ভোট দিতে হয়রানি করা হয়েছে । ভোটারদের বেশিরভাগ অভিযোগ করেন দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে হয়েছে কেহো কেহো বলে সকাল আটটায় লাইনে এসে প্রয় ৪/৫ ঘন্টা অপেক্ষা করে ভোট দিতে হয়েছে। রবিবার (২৮ নভেম্বর ) সকালে ভোট গ্রহণ শুরেু করে বিকেল ৪ টায় শেষ হয়। লক্ষ্মীপুরের ২০ ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২২ জন।
নির্বাচনের পরিস্থিতি সুষ্ঠ ও শৃঙ্খল রাখতে মাঠে ৯ প্লাটুন বিজিবি, ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিযুক্ত ছিল বলে জানা যায়।
রায়পুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের কেন্দ্রে ব্যালট পেপার টেনে নিয়ে জাল ভোট,ভোটারদের হুমকি ধমকি, প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া, এজেন্টদের বের করে দেয়া, সাংবাদিকের উপর হামলা সহ ডজনখানেক অভিযোগ উঠেছে।
রামগঞ্জ ও রায়পুরের ২০টি ইউপিতে ১৯২টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হয়। এসব ইউনিয়নগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব ইউনিয়নের প্রতিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ছিলেন শক্ত অবস্থানে।
এছাড়াও ভোটের আগে গতকাল শনিবার জেলার রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার মধ্য ভাদুর এলাকা থেকে ৩১ জনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এসময় একটি এলজি, ৪টি চাপাতি, ৯টি ককটেলসহ দেশীয় আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একই উপজেলার ভোলা কোট ইউনিয়নের লক্ষীধরপাড়া ভোট কেন্দ্র থেকে আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জন যুবক ও তাদের গাড়িচালককে আটক করে টহলরত বিজিবির সদস্যরা। এ নিয়ে রামগঞ্জে অস্ত্রসহ আট হলেন মোট ৩৯ জন।
উল্লেখ্য,লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮০ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ২০জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।