করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব চীনের পাশাপাশি পড়তে শুরু করেছে পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতে। সংকুচিত হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিধি আর সরবরাহ ব্যবস্থা। বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে আসেন লাখ লাখ চীনা পর্যটক। চীনা পর্যটকদের অন্য দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চলতি বছর নিউইয়র্ক আর ক্যালিফোর্নিয়া লোকসান গুণতে পারে ৫৮০ কোটি ডলার। চীনা পর্যটকরা অন্য যেসব দেশের পর্যটন খাতে অনন্য অবদান রাখেন, প্রায় সব দেশকেই এবার গুণতে হবে কঠিন লোকসান।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনেও আসতে পারছেন না পর্যটকরা। এরই মধ্যে ধস নামতে শুরু করেছে দেশটির পর্যটন খাতে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আর এশিয়া চীনাদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স চীনে ফ্লাইট বাতিল করেছে। সিঙ্গাপুর তো চীনের পর্যটক নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে। এদিকে, হংকং চীন সংলগ্ন সীমান্তই বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
দেশটির অন্যতম জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সরবরাহ ক্ষেত্র উহান শহর লকডাউন থাকায় জ্বালানি কেনা কমিয়ে দিয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। ক্রমাগত দর হারাচ্ছে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। সেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিশ্ব শেয়ারবাজারে। ফার্মাসিউটিক্যালস, আর্থিক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে দেশের বাইরে আমদানি রফতানি বাণিজ্য। অথচ বিশ্বের সপ্তম ব্যস্ততম ১০ টি কন্টেইনার বন্দর চীনে অবস্থিত। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে নিজ বাসস্থান ছাড়ছেন অনেক চীনা। কমছে শিল্পখাতের কার্যক্রম ও খুচরা বিক্রি। বেড়ে যেতে পারে বেকারত্ব আর মূল্যস্ফীতি।