কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জিনগত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন এখন পর্যন্ত তিন ধাপে বিবর্তিত হয়ে ছড়িয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।
টাইপ এ, বি এবং সি হিসেবে তারা ওই তিন ধাপের নামকরণ করেছেন। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত এক আর্টিকেলের বরাতে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দ্য ডেইলি মেইল।
কেমব্রিজের অধ্যাপক ড. পিটার ফস্টার ও তার দল গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন নভেল করোনাভাইরাসের টাইপ-এ বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে। এছাড়াও, টাইপ-এ ভাইরাসটি অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। প্রায় চার লাখ করোনাভাইরাস আক্রান্তকে পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে তারা টাইপ-এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ব্যতীত ওয়েস্ট কোস্টের দুই তৃতীয়াংশ আক্রান্ত টাইপ-এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত।
কিন্তু, উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ছিল ভাইরাসটির টাইপ-বি দশা। এই একই অবস্থায় ভাইরাসটি যুক্তরাজ্যেও ছড়িয়েছে। টাইপ-বি ভাইরাস পাওয়া গেছে সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও।
এদিকে, টাইপ-বি থেকে বিবর্তিত হয়ে টাইপ-সি ভাইরাস সিঙ্গাপুর হয়ে আবার ইউরোপে প্রবেশ করেছে। ইতালি ও হংকংয়ে ব্যাপকভাবে টাইপ-সি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করা শুরু করেছেন আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে আলাদা আলাদা রূপ গ্রহণ করছে (সার্স-কোভ-২) নভেল করোনাভাইরাস।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১৬০ জন আক্রান্তের নমুনার ওপর গবেষণা চালিয়ে এই গবেষকরা এই কার্যক্রম শুরু করেছিলেন বর্তমানে তারা প্রায় এক হাজার নমুনার ব্যাপারে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। যদিও এই গবেষণার পিয়ার রিভিউ এখনও সম্পন্ন হয়নি।