বিশ্বজুড়ে বেড়েছে যক্ষ্মার প্রকোপ। এতে যেমন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। একই ভাবে বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। করোনা মহামারির সময় ঠিক মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় এমনটা ঘটেছে। যক্ষ্মা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে সারা বিশ্বে ১ কোটি ৬ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছে ১৬ লক্ষ জনের। ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর (২০২১) যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বিশ্বে বেড়েছে ৪.৫ শতাংশ। শতাংশের হিসেবে বিশ্বের নিরিখে ২৮ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী ভারতের।
রিপোর্ট মতে, ভারত ছাড়াও অন্যান্য যে দেশগুলোতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেশি সেগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া (৯.২ শতাংশ), চিন (৭.৪ শতাংশ), ফিলিপাইন (৮ শতাংশ), পাকিস্তান (৫.৮ শতাংশ), নাইজেরিয়া (৪.৪ শতাংশ), বাংলাদেশ (৩.৬ শতাংশ ) ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (২.৯ শতাংশ)।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার রোগী এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন। বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়।
রিপোর্ট প্রকাশের পর যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেইয়াসুস।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ যদি আমাদের কিছু শিখিয়ে থাকে, তা হলো সংহতি, সংকল্প ও উদ্ভাবনের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার। যক্ষ্মা রোধে সেই শিক্ষাগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো যক্ষ্মা ও ডিআর-টিবি উভয় ক্ষেত্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা করোনা মহামারিকে দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, করোনা চলাকালে অনেক যক্ষ্মা রোগী ঠিকমতো চিকিৎসা পাননি।