গত এক সপ্তাহে এক লাফে করোনা টেস্টের সংখ্যা কমেছে গড়ে প্রায় বিশ শতাংশ। আইইডিসিআর বলছে, অযথা টেস্টকে নিরুৎসাহিত করায় গত সাত দিনে কমেছে করোনা টেস্টের সংখ্যা। নতুন পরিকল্পনায় কেবল উপসর্গ নিয়ে আসাদেরকেই পরীক্ষার আওতায় আনছেন তারা, নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট। তার উপর ফি নির্ধারণেও কমেছে টেস্টের সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত কোভিড মোকাবিলায় আবারো ভুল করছে বাংলাদেশ, শঙ্কা আছে বড় বিপর্যয়ের।
দেশের সংক্রমণের হার দেখে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, হয়তো করোনা সংক্রমণের চূড়া অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। এনিয়ে রয়েছে বিরোধী মতও। এমন বাস্তবতায় চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা পরীক্ষার যেন ক্রমেই নিম্নমুখী। ২ জুলাই যেখানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল আঠারো হাজার সেখানে পরের ছয়দিন এই সংখ্যা তেরো চৌদ্দ আর ১৫ হাজারে।
করোনাকালের এই পর্যায়ে যখন বারবার টেস্ট বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা তখন কেন এমন হাল। আইইডিসিআর বলছে, অহেতুক টেস্ট নিরুৎসাহিত করতেই কেবল উপসর্গ দেখে পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করছেন তারা। এছাড়া প্রথমবার নেগেটিভ আসলে পরবর্তী টেস্ট না করার পরামর্শ এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। ফি নির্ধারণের পর এমনিতেও কমেছে কিছুটা চাপ।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, আমরা উপসর্গ ছাড়া কোনো রোগীর টেস্ট এখন করছি না। এছাড়া শনাক্তকৃত ব্যক্তি নেগেটিভ কিনা সেটা দেখার জন্যও আমরা টেস্ট করছি না। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, এজন্যই টেস্টের সংখ্যা কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তে হয়তো দৃশ্যমান সংক্রমণের পরিসংখ্যানটা স্বস্তিদায়ক দেখাবে। তবে এতে করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র থেকে যাবে অন্তরালে। যা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজীর আহমদ বলেন, টেস্ট কমে গেলে রোগী কেন কমে গেল? তার মানে কি এমন টেস্ট বাড়ালে রোগী বেড়ে যাবে? যদি আমরা সত্যিকার রোগীকে মিস করি, তবে তাদের মাধ্যমে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিটা বেড়ে যাবে।
টেস্ট কমানো থেকে সরে এসে র্যাপিড টেস্টের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র : সময় নিউজ