গেলো এক মাসে দফায় দফায় ডিমের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। খুচরা বাজারে ডিমের হালি ঠেকেছে ৪০ টাকায়। এতে আশঙ্কা আছে ডিমে ওপর নির্ভরশীল খাদ্যপণ্য দাম বাড়ারও। ডিম উৎপাদনকারীদের সংগঠন বলছে, লোকসানের কারণে অনেক ছোট খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু কম দামে কিনতে খুচরা ক্রেতা আসছেন পাইকারি বাজারে। তবে, বাজারে অন্য পণ্যের দামে হিমশিম খাওয়া ক্রেতা ডিমেরে বাজারে ঊর্ধ্বগতিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, ‘৬০ টা ডিম কিনি আমরা ৪৮০ টাকায়। গতমাসে ৪২০ টাকায় কিনেছি। এই মাসে দেখি ৫৪০টাকা।’
পাইকারি বাজারে একটি ডিম কিনতে খরচ করতে হয় সাড়ে আট টাকায় বেশি। শুধু মুরগী নয় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাঁসের ডিমের দামও। এমন অবস্থায় শিগগিরি দাম কমার কোন লক্ষণ দেখছেন না পাইকাররা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘হাঁসের ডিম রোজার আগে ছিল ১২০০ টাকা। এর মাঝে কিছু কমেছে, এখন আবার বেড়েছে।’ খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ডিম কিনতে হচ্ছে হালি প্রতি ৪০ টাকায়। মাসের ব্যবধানে হালিতে ৮-১০ টাকা বাড়ায় ক্রেতাদের প্রশ্নে নিরুপায় তারা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিলের হিসেবে, প্রতিদিন ডিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন ৩ কোটি ৮০ লাখ পিস। সে হিসেবে গেলো কয়েকবছরে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি পিস উৎপাদন হচ্ছে। লোকসংখ্যা বাড়ার সাথে বাড়ছে চাহিদাও। তাই চাহিদা সমন্বয় করে উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখা না গেলে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। ডিমের দাম না কমলে আশঙ্কা আছে ডিমের ওপর নির্ভর খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার।