তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, লকডাউন শিথিল থাকলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্ত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ঈদের দিন স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে মাধবপুর চা-বাগান লেকে প্রায় ২-৩ হাজার পর্যটকের আনাগোনা করতে দেখা গেছে।
গেল বুধবার (২১জুলাই) ঈদের দিন বিকাল থেকে গতকাল অবধি মাধবপুর চা-বাগান লেকে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নারী-পুরুষ ও শিশুরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। লেকে প্রবেশের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে চা-কারখানার সামনের গেটে পর্যটকদের মোটরসাইকেল ও যানবাহন আটকে দিলেও টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে পর্যটকদের। কেউ কেউ টাকা দিতে না পেরে লুকিয়ে চা-বাগানের ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটেই লেকে প্রবেশ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধবপুর লেকের গেটম্যান বলেন, ‘সরকার দেশের সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রেখেছে। মাধবপুর লেকও বন্ধ ছিল। কিন্ত ঈদের দিন সকাল থেকে লেকে পর্যটকরা প্রবেশ করছে। কারও মুখে মাস্ক নেই, মাস্ক কোথায় জিজ্ঞাসা করলেও ধমক দেয় আমাদের। সামনের গেইটগুলোর দায়িত্বে থাকা গেটম্যানরা ভেতরে মোটরসাইকেল ও পায়ে হেঁটে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে বলেই তো এতো পর্যটকের ঢল নেমেছে। আমাদের কিছু করার নেই।
তবে টাকার বিনিময়ে পর্যটকদের প্রবেশের বিষয়ে মাধবপুর লেকের ২ নং গেটের দায়িত্বে ধরমবীর মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
মাধবপুর ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, ‘লেকে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও পর্যটকরা কোন নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জোর করে লেকে পর্যটকদের প্রবেশ করার বিষয়টি আমি গেটে দায়িত্বে থাকা তাদের কাছ থেকে জেনেছি। আর টাকার বিনিময়ে গেট পাস দেয়ার বিষয়টি এখন জানলাম, আমি চা-বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ কোনভাবেই মানা যাবেনা। দল বেঁধে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঘুরে বেড়ানোর কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না। তিনি বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে জানান।