বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তির অভিযোগ তদন্তে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিষয়টি এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল হাদী। তাদের সঙ্গে ছিলেন কামরুল হাসান রিগান, মো. জাকির হায়দার, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গতকাল (১১ জুন) বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে ওঠা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই রিটে আজ নতুন করে দায়ের করা সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও গ্রাহকদের অতিরিক্ত ও গোপন চার্জ দেওয়ার অভিযোগ এনে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা এবং নীতি সংস্কার করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগান ও জাকির হায়দারের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাদী।
রিটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার করার দাবি জানানো হয়। এতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ও ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত ২১ মে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সত্ত্বেও গ্রাহকদের অতিরিক্ত ও গোপন চার্জ দেওয়ার অভিযোগ এনে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনার দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ২৬ মে’র মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এর ব্যত্যয় হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম