শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দামপাড়াস্থ পুলিশ লাইন্সে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিদায়ী কমিশনার কে ফুলেলে শুভেচ্ছায় বরন করে নেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব আমেনা বেগম বিপিএম-সেবা। পরবর্তীতে সিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনারকে বিদায়ী স্মারক প্রদান করা হয়।
২০১৮ সালের জুন মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে তিনি বিবিধ প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অত্যন্ত সুনামের সাথে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। নিত্যনতুন কার্যক্রমের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রমকে উৎসাহিত করেছেন সবসময়। হ্যলো ওসি, হ্যালো এম্বুল্যান্স সেবা, কমিউনিটি পুলিশিং, মসজিদ পুলিশিং, বিট পুলিশিং ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টায় রত ছিলেন। সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় কাজের অবদানের ২০১৯ সনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ‘বিপিএম-সেবা’ পদকে ভূষিত হন।
করোনা যুদ্ধে শহীদ ০৫ জন পুলিশ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায়ী ভাষণ শুরু করেন বিদায়ী সিএমপি কমিশনার। বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি অনন্য ইউনিট। আমি চেষ্টা করেছি আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে সবার মনে মণিকোঠায় স্থান নিতে। করোনা যুদ্ধ করতে গিয়ে সিএমপির ৫৫৪ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দিন শেষে আমরা মানবিকতার ডাকেই সাড়া দিয়েছি। এই মানসিকতা নিয়েই কাজ করেছি।’
এসময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব আমেনা বেগম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব এস এম মোস্তাক আহমদ খান,বিপিএম, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব আমির জাফর সহ সকল স্তরের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্টঃ আরাফাত আহমেদ রনি