গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে বিটিআরসি। চলতি সপ্তাহেই পাওনা আদায়ে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ যাবে এই দুই অপারেটরের কাছে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করলে প্রতিষ্ঠান দুটির লাইসেন্স বাতিল কিংবা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এবিষয়ে গ্রামীণফোন কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রবি।
চলমান সমস্যা সমাধানে গ্রামীণফোন ও রবি বারবার সালিশের আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি বিটিআরসি। সবশেষ গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো বিটিআরসি। তাতেও কাজ না হলে নিয়োগ দেয়া হবে প্রশাসক।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘আমরা লাইসেন্স বাতিলের দিকে যাব কিনা সেই বিষয়ে আলোচনা করব। প্রথমে ৩০ দিনের নোটিশ দিব, এরমধ্যে টাকা না দিলে আমরা রিসিভার নিয়োগ করব। তিনি সেখানে বলে প্রতিষ্ঠান চালাবেন এবং আমাদের টাকা উদ্ধার করে দিবেন। সরকার টাকা পেয়ে গেলে রিসিভার উঠিয়ে নিব।
এদিকে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন কড়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি গ্রামীণফোন। তবে নিরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রবি বলছে সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করবে না তারা।
রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা রেশনাল কারণেই বলেছে অডিট রিপোর্টে আমাদের আপত্তি রয়েছে। সেগুলোর সমাধান করলেই বেরিয়ে আসবে আসলে কত টাকা পাওনা। আমার মনে হয়েছে, আমাদের ফোর্স করা হয়েছে যাতে আমরা কোনো আইনি পদক্ষেপ নেই।’