দেশের সবকিছুই যখন ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে তখন বসে নেই কৃষি বিভাগও। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন পদ্ধতি। সনাতন পদ্ধতিতে ধান আবাদ করে বিঘা প্রতি কৃষকদের মাত্র ২ হাজার টাকা লাভ হয়। তবে মেশিনের ব্যবহার করে কৃষক প্রতি বিঘায় সাত হাজার টাকারও বেশি লাভবান হবেন বলে মত কৃষিবিদদের।
আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কম সময়ে, কম খরচে ও একপ্রকার বিনা শ্রমিক দিয়েই বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। এতে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে বাড়ছে খাদ্য উৎপাদন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
খাদ্যশস্য সমৃদ্ধ জেলা দিনাজপুর। কিন্তু এই এলাকায় ধান চাষে চাষিদের সবচেয়ে বিপাকে পড়তে হয় কৃষিশ্রমিক নিয়ে। সুখবর হলো, এবার এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হতে যাচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগ্রিপ্লাস লিমিটেড ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যৌথ উদ্যোগে দিনাজপুরে মেশিনের সাহায্যে ধান চাষ কর্যক্রম চালু করেছে। বীজ বপন থেকে শুরু করে ধান বস্তাবন্দি পর্যন্ত মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। বিরল উপজেলার চকেরহাট এলাকায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মেশিনের সাহায্যে ট্রে-তে বীজ বপন করা হয়। চল্লিশ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ধানের চারা রোপন যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে লাগানো হয়।
মেশিনের মাধ্যমে শুধু ধান রোপনেই খরচ কমবে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে ধান রোপন করতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের বীজ বপন, রোপন, মাড়াই, ঝাড়াইসহ বস্তা বন্দি করা হলে কৃষকদের ধান উৎপাদন খরচ কমবে বলে মনে করেন এগ্রিপ্লাস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষিবিদ সরদার আলী মর্তুজা।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি যান্ত্রিকরণের পাশাপাশি, সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ প্রয়োজন মনে করেন বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুল ইসলাম।