তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা সংবাদকর্মী: মৌলভীবাজার সদর থানা ইনচার্জ ইয়াসিনুল হকের দিক নির্দেশনায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব গোলাম মর্তুজা এবং পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জনাব মোঃ মশিউর রহমান এর সার্বিক তত্বাবধানে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার সঙ্গীয় টিম সহ মৌলভীবাজার সদর থানা এলাকা সহ রাজনগর থানাধীন খাশ প্রেমনগর এলাকায় দীর্ঘ ১৬ ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করিয়া বিকাশ চক্রের সক্রিয় সদস্য বুলবুল মিয়া (৩৬) ও মোঃ মাসুম(১৯) ফজলুল হক(৩২) ৩ জনকে আটক করে।
আটককৃত বুলবুল মিয়া খাশ প্রেমনগর গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে।মোঃ মাসুম খাশ প্রেমনগর গ্রামের মিলদার মিয়ার ছেলে অপর আসামী ফজলুল হোক ইছাকোটা,চুনারুঘাটের ফিরোজ আলীর ছেলে,বর্তমান ঠিকানা গোবিন্দশ্রী মৌলভীবাজার। ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করে এবং বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কোম্পানীর মোট-২৪ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ-১,৩০,৭৩০/- টাকা উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য যে, গত-১১/০৫/২০২১ তারিখ শাহ ইব্রাহীম আলী থানায় আসিয়া সাধারণ ডাইরী করেন যে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি শাহ তাছলিম নামক ইমো নাম্বার থেকে তাহার ব্যবহৃত ইমো নাম্বারে ফোন করিয়া তাহার বোনের কন্ঠ নকল করিয়া বিভিন্ন সমস্যার কথা বলিয়া তাহার নিকট টাকা চায়। তিনি সরল বিশ্বাসে উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথায় রাজি হইয়া তাহার দেওয়া বিকাশ নাম্বারে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট নগদ-৯০,০০০/- টাকা পাঠায়। টাকা পাঠানোর পর উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করিলে মোবাইল নাম্বার গুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আবেদনকারী তাহার বোনের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারেন তাহার বোন কোন টাকা পয়সা তাহার কাছে চায় নাই, এমনকি সে কোন টাকা পয়সা পায়ও নাই। তখন আবেদনকারী প্রতারণার স্বীকার হয়েছে বুঝতে পারিয়া উক্ত বিষয় সংক্রান্তে মৌলভীবাজার মডেল থানায় জিডি করেন। উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মৌলভীবাজার মডেল থানাধীন কোর্টরোডস্থ আনোয়ার ম্যানশন টিসি মার্কেটের দয়াল ষ্টোর হইতে বিকাশ দোকানদার ফজলুল হক(৩২) কে আটক করিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহার সহযোগী ১। বুলবুল মিয়া (৩৬), এবং ২। মোঃ মাসুম(১৯) দ্বয়কে রাজনগর থানাধীন খাশ প্রেম নগর এলাকা হইতে আটক করেন এবং তাহাদের হেফাজত হইতে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কোম্পানীর সর্বমোট-২৪ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ-১,৩০,৭৩০/- টাকা উদ্ধার করেন। ধৃত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত পরষ্পর যোগসাজসে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজ (মোবাইল ফোন) এর মাধ্যমে ছদ্ধবেশ ধারণ করিয়া প্রতারণার মূলকভাবে কৌশলে বিকাশের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট হইতে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে আত্নসাৎ করিয়া ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য উক্ত কাজ করিয়া আসিতেছে মর্মে জানা যায়। পরবর্তীতে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।