আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির ৭ই মার্চের কর্মসূচি ভণ্ডামি ও ইতিহাস বিকৃতির আস্ফালন। যা জাতিকে হতাশ করেছে।
আজ শনিবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
সেতু মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন সমৃদ্ধির পথে তখন একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশে বিদেশে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করে এখন বিএনপি ৭ই মার্চের কর্মসূচি পালন করছে। এটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা বিএনপির লোক দেখানো।
আর জনগণ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে যাবার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভিত গড়ে দিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসন ও দেশবিরোধী অপশাসনে পিষ্ট হতে হয়েছে। দেশকে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের কাতারে দাঁড় করিয়েছে। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সেখান থেকে তুলে উন্নত দেশের কাতারে যুক্ত করছেন।
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে একজন নেতার ওদ্ধর্ত্যপূর্ণ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সাথে সঙ্গতি রেখে ২৬ শে মার্চের কর্মসূচি নেয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
২৬ শে মার্চ ২০২১ থেকে পরবর্তী ২৬ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর উপহার দেয়া হবে।
এছাড়া, ২৬ শে মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন বলেও জানান তিনি।
আজ অনুষ্ঠিত যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ডা. দীপু মনি, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সায়েম খান প্রমুখ।