মৃত ব্যবসায়ী বাবা হুমায়ুন কবীরের মৃত্যুর ৭ দিন পর থানায় এসে তার ছোট কিশোরী মেয়ে জানায়-বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছি, আমাকে গ্রেপ্তার করুন। পুলিশের কাছে তিনি আরও দাবি করেন, রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন তিনি।
আজ রোববার (১৪ জুলাই) সকালে বিষয়টি প্রকাশ পেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিহত শেখ হুমায়ুন কবির নগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, শেখ হুমায়ুন কবীরের তিন মেয়ে। বড় মেয়ে বিবাহিত। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দেয়ানার বাড়িতে থাকতেন তিনি। থানায় আত্মসমর্পণ করা কিশোরী তার ছোট মেয়ে। চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছে তিনি। বর্তমানে তাকে কেএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনার দৌলতপুর থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সুমাইয়া মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। তিন বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তারা কোনো অভিযোগ করবেন কিনা এখনও জানায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই মারা যান দৌলতপুর এলাকার ব্যবসায়ী শেখ হুমায়ুন কবীর। আগের রাতে ভাত খেয়ে ঘুমাতে যান, ৫ জুলাই সকালে আর ঘুম ভাঙেনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করা হয়।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:০০ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি