২০১১ সালে বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন মেসি। সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচেও অংশ নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবার তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে কাছ থেকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভক্তদের। সব ঠিক থাকলে মেসির পর ঢাকায় আসতে চলেছেন পর্তুগিজ যুবরাজও।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আগেই। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে সর্বমোট ৩৬টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ও ৪৮টি জাতীয় প্রতিযোগিতা অংশ নেবে দেশের ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো।সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে আগামী বছর ১৯ মার্চ ঢাকায় ইউরোপের প্রথম সারির দুটি দল নিয়ে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নেতৃত্বাধীন পর্তুগালকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।পাশাপাশি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং চারবার করে বিশ্বকাপ জয়ী ইতালি অথবা জার্মানিকে নিয়ে আসার চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আবু নায়েম সোহাগ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকায় দুটি ইউরোপিয়ান দলের ম্যাচ আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে আমাদের। যদিও প্রস্তুতি নিতে অনেক দেড়ি হয়ে গেছে। আগামী বছরের ওই সময়টায় ইউরোপের দলগুলো ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলবে। এর মাঝে যাদের পাওয়া যাবে তাদের নিয়ে আশার চেষ্টা করব। পর্তুগাল, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানির মধ্যে দুটি যেকোনো দল আনার চেষ্টায় রয়েছি আমরা। বাফুফে সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর নামে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে ফেডারেশন। টুর্নামেন্ট তিনটি হলো বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা।সূত্র জানাচ্ছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে এই সংক্রান্ত বাজেটও দিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন।এদিকে ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন উপ-কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার।রাজধানীর কাকরাইলে আন্তর্জাতিক ভাষা ইনিস্টিটিউটে সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এম পি।উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি।উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. জাফর উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি ও সম্পাদকরা।সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো। সেজন্য ফেডারেশনগুলো থেকে কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে চাই আমরা। সে লক্ষ্যে ক্রীড়া ক্যালেন্ডারও প্রণয়ন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে ৩৬টি আন্তর্জাতিক এবং ৪৮টি জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। অন্যান্য অনুষ্ঠানও থাকবে। অবশ্য এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে জাতীয় কমিটি।’এদিকে আগামী বছর মার্চে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশ নিয়ে একটি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করবে।