বাঞ্ছারামপুর শারদীয় দুর্গাদেবী বিসর্জনের তিতাস নদীতে জনতার ভিড়
মো.নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর-প্রতিনিধি।
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা,এবছর বাঞ্ছারামপুর ৪৩টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়।
ষষ্ঠী তিথি থেকে দুর্গাপূজা শুরু হয়,সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী, এই তিনদিন সাড়ম্বরে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়, অষ্টমীর দিন করা হয় কুমারী পূজা, অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিস্থলে করা হয় সন্ধি পূজা, সব শেষে হয় দশমী পূজা, যা মূলত ‘বিজয়া দশমী’ নামে প্রচলিত।
বিজয়াদশমীর দিন বিসর্জনের পর পূজামণ্ডপের ঈশানকোণে অষ্টদল পদ্ম এঁকে অপরাজিতার লতা রেখে এই দেবীর পূজা করা হয়।
শারদীয় দুর্গাপূজাকে বিসর্জনের জন্য বাঞ্ছারামপুর উপজেলা উজানচরের বিভিন্ন মন্ডপ থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রাত ১১টায় নদীর ঘাঁট যানবাহন নিয়ে জনসাধারণের ভিড় জমে।
প্রত্যক্ষদর্শী মতে জানা যায়,কেউ আসে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য কেউ আসে প্রতিমা বিসর্জনের দেওয়া উপভোগ করার জন্য
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর খেঁয়াঘাট তিতাস নদীতে ‘বিজয়া দশমী’ হিন্দু ধর্মালম্বীদের দেবী দুর্গা প্রতিমা কান্নার মধ্যে দিয়ে সকলে মিলে তিতাস নদীর গভীর জলে বিসর্জন দেওয়া হয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি মিন্টু রঞ্জন সাহা, শান্তিপুর্ণ পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপিত হওয়ায় উপজেলার সর্ব স্তরের জনগন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রশাসন,পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য বাহিনীদের প্রতি বাংলাদেল পূজা উদযাপন পরিষদ শাখার পক্ষ থেকে সকলকে কৃতজ্ঞতা ও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।