মো.নাছির উদ্দিন- বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া -প্রতিনিধি: সাংবাদিকদেরকে বলা হয় খবরের ফেরিওয়ালা। দিনরাত ২৪ ঘন্টা খবর ফেরি করে বেড়ান তারা। কিন্তু যখন দেশে কোন দুর্যোগ চলে আসে তখনতো আর শুধু খবরের পেছনে ছুটলেই হয় না। অসহায় মানুষের খাবারের সংস্থানের দিকেও যে নজর দিতে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা সেই অনন্য নজির স্থাপন করলেন। খাবার নিয়ে ছুটে গেলেন অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে।
“প্রতিবেশীর বিপদে পাশে থাকুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সদস্যরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। উদ্দেশ্য করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এলাকার অস্বচ্ছল, দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। প্রাথমিক ভাবে এমন ৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাব।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ছলিমাবাদ, সাতবিলা, সাহেবনগর, কমলপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীদের সাথে নিয়ে খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ হাতে সাংবাদিকরা ছুটে যান অতি দরিদ্র ও কর্মহীনদের ঘরে ঘরে। পৌঁছে দেন খাবারের ব্যাগ। যে ব্যাগে ছিলো ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি আটা ও তেল।
সাংবাদিকদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ সুবীর, সলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুজ্জামান বকুল, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক রোস্তম আলম, বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক কালেরকন্ঠের সাংবাদিক চাঁন মিয়া সরকার, সহ-সভাপতি ও দৈনিক যায়যায়দিনের সাংবাদিক শাহ আলম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আতাউর রহমান সনেট, দৈনিক যায়যায় কালের সাংবাদিক মো: নাসির উদ্দিন, দৈনিক সময়ের আলোর সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, দৈনিক মানবকন্ঠের সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, একাত্তর টিভির মো: বাহারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভির সাংবাদিক রাকিবুল হাসান রিয়ান, ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব ইসলাম মনির।
বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান, তারা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পর্যায়ক্রমে অন্তত ৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবেন।
বাঞ্ছারামপুরে সন্তান হিসেবে এখানকার মানুষের সমস্যা, সংকটে পাশে থাকা তাদের দায়িত্ব বলে মনে করেন সাংবাদিকরা।