মো.নাছির উদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এবারে ৪৩ টি দূর্গা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা,মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে আর কয়েক দিন বাকী থাকলে ও ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা বয়ে বেড়াচ্ছে। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। ইতিমধ্যে মন্ডপে মন্ডপে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ । কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পীদের। প্রতিমা তৈরী শিল্পীদের যেন দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীন ভাবেই কাজ করছেন তারা।
জমজমাট এই পূজোর আয়োজনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মৃৎ শিল্পীরা কাদা-মাটি, থড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম। শিল্পীরা আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে দেবীদূর্গা, লক্ষী, স্বরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, মহিষাশুরসহ সকল মূর্তিকে স্ব স্ব মহিমায় প্রষ্ফুটিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
বাঞ্ছারামপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিন্টু রঞ্জন সাহা বলেন এবার দুর্গাদেবীর আগমন হবে হাতিতে চড়ে ও গমন হবে নৌকায় চরে। সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, দুর্গা উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী ১অক্টোবর ষষ্ঠীর মাধ্যমে, ২ অক্টোবর দেবীর সপ্তমীবিহিত, ৩ অক্টোবর দেবীর মহাঅষ্টমীবিহিত, কুমারী পূজা, সন্ধি পূজা, ৪ অক্টোবর দেবীর নবমীবিহিত এবং ৫ অক্টোবর দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্শন বিসর্জন এবং সন্ধ্যা আরত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
প্রতিমা তৈরীর কারিগর(মৃৎশিল্পী) সন্জিত পালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বাড়ী টাঙ্গাইল নরসিংদী আমার প্রতিমা তৈরির কারখানা আছে আমরা চুক্তি ভিত্তিক প্রতিমা তৈরীর কাজ করি। এখন পর্যন্ত ৩০টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করেছি,কাজের খুব চাপ এখন দিনরাত কাজ করি। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর জন্য ৭০হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা চুক্তি ভিত্তিক কাজ করি জিনিষ পত্রের দাম অনেক বেশি পুষায় না।কারখানাতে তৈরি করলে খরচ আরো বেশী পড়ে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে কাজের চাপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারন নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক সূত্রধর ডিজিটাল বাংলা নিউজকে বলেন, এবছর উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ৪৩ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। এ বছর পৌর সভায় ৫ টি, সদর ইউনিয়নে ২টি, উজানচর ইউনিয়নে ৬ টি, দরিয়াদৌলত ৩ টি, ছলিমাবাদ-৩ টি, রুপসদী ৬টি, তেজখালি-৩ টি, ফরদাবাদ ইউনিয়নে-১০টি, মানিকপুর ইউনিয়নে ৩ টি, দরিকান্দি ১টা এবং ছয়ফুল্লাকান্দি ১টা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।