মো.নাছির উদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর, প্রতিনিধিঃ আজ শনিবার মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৪৩ টি পূজা মন্ডপে শুরু হচ্ছে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ৫ অক্টোবর (বুধবার ) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির এই শারদোৎসবের।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন বাঞ্ছারামপুরে বিভিন্ন মন্ডপে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে পূজা মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দুর্গাদেবীর আগমন হবে হাতিতে চড়ে ও গমন হবে নৌকায় চরে। দুর্গা উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে ষষ্ঠীর মাধ্যমে, ২ অক্টোবর দেবীর সপ্তমীবিহিত, ৩ অক্টোবর দেবীর মহাঅষ্টমীবিহিত, কুমারী পূজা, সন্ধি পূজা, ৪ অক্টোবর দেবীর নবমীবিহিত এবং ৫ অক্টোবর দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্শন বিসর্জন এবং সন্ধ্যা আরত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
বাঞ্ছারামপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিন্টু রঞ্জন সাহা জানান, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজার সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.নুরে আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এ বার বাঞ্ছারামপুর ৪৩টি পূজামণ্ডপে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া সাদা পোশাকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরাদ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হবে। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপের আশপাশের সকল ধর্মের লোকজনদের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক সূত্রধর বলেন এবছর উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ৪৩ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। এ বছর পৌর সভায় ৫ টি, সদর ইউনিয়নে ২টি,উজানচর ইউনিয়নে ৬ টি, দরিয়াদৌলত ৩ টি, ছলিমাবাদ-৩ টি, রুপসদী ৬টি, তেজখালি-৩ টি, ফরদাবাদ ইউনিয়নে-১০টি, মানিকপুর ইউনিয়নে ৩ টি, দরিকান্দি ১টা এবং ছয়ফুল্লাকান্দি ১টা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।