বাজারে মৌসুমের নতুন আলু আসা শুরু করেছে। আর এই নতুন আলুর দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। এখন নতুন আলুর দাম বাজারে কেজি প্রতি ১০০ টাকা। আর পুরান আলুর দাম এখনো ৫০ টাকা কেজি।
এদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, দেশে এ বছর ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই মুনশিগঞ্জ, নরসিংদী, রংপুর, বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭০ ভাগ জমিতে আলু চাষাবাদ শেষ হয়েছে। আর মাত্র ১৫ দিন পরেই নতুন আলু ব্যাপকভাবে বাজারে আসতে শুরু করবে। তবে দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসতে আরো মাস খানেক সময় লেগে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আলু উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হয়।
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর ৬৫ লাখ মেট্রিক টন আলুর চাহিদা রয়েছে। পক্ষান্তরে দেশে আলু উৎপাদিত হয় কমবেশি ১ কোটি মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে আলু উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই।
তার পরেও এবার আলুর বাজার চরে গেছে ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে। সরকারিভাবে খুচরা মূল্য কেজি প্রতি ৩৫ টাকা দাম নির্ধারন করে দিয়ে এবং বাজারে র্যাব-পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঠিয়েও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
জুন-জুলাই মাসে যে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আলুর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়ে স্বল্পআয়ের মানুষ। আলুর এ মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। যার ফলে আলুর মজুদও কম হয়েছে। আগের বছর যেখানে আলু মজুদ ছিল ৫৫ লাখ মেট্রিক টন, চলতি বছর সেই মজুদ দাঁড়ায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আলু উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হয়। তবে করোনাকালে চাল ডালের সাথে আলু সাহায্য হিসেবে বিতরণের কারণে এ বছর আলুর ব্যবহার হয়েছে বেশি। যে কারণে এ বছর আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। আর বন্যার কারণে উৎপাদন কমেছে অনেকাংশে।